শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্রলার ও ২১টি মৃত গরু উদ্ধার হয়েছে। রবিবার সকাল ৭টায় গরুসহ ট্রলারটি ভেসে উঠলে পুলিশ উদ্ধার করে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে আরো ৫ গরু।
রবিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হয় জীবিত ৫ গরু। ট্রলারটি টাঙ্গাইল থেকে ৩১টি গরু নিয়ে ফতুল্লা ডিআইটি মাঠ হাটে আসছিল। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
ফতুল্লা থানার ওসি শাহ মঞ্জুর কাদের জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারটি ঘটনাস্থল থেকে কয়েক শত গজ দুরে সকালে গরুসহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে জানায়।
পরে পুলিশ তা উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। ভেসে উঠা ট্রলারে ২১টি মৃত গরু বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। ক্ষতিগ্রস্থ গরু ব্যবসায়ীদের দাবি, তাদের আরও গরু নিখোঁজ রয়েছে। তাদের এই গরুর মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
ক্ষতিগ্রস্থ গরু ব্যবসায়ীরা এ দ‚ঘটনার জন্য দায়ী লঞ্চ এম ভি ধুলিয়া-১ এর মালিকের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
ওসি জানান, বুড়িগঙ্গার জলসীমা কেরানীগঞ্জ থানার আওতাধীন হওয়ায় এই ঘটনার মামলাটিও কেরানীগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় ৩১টি গরু বোঝাই টাঙ্গাইল থেকে আসা একটি ট্রলার ফতুল্লার কোরবানীর হাটে তোলার জন্য ঘাটে ভিড়ছিল।
এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এম ভি ধুলিয়া-১ ফতুল্লার টার্মিনালে ভেড়ার আগে মাঝ নদীতে গরুবাহী ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি ডুবে যায়।
রাখাল ও মাঝি-মাল্লারা রশি কেটে পাঁচটি গরু উদ্ধার করতে পারলেও ২৬টি গরুসহ ট্রলারটি বুড়িগঙ্গায় তলিয়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় আহত হন ট্রলারে থাকা ৫জন গরু ব্যবসায়ী।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসাপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
ঘটনার পরপর এমভি ধুলিয়ার-১ এর মাষ্টার ফারুক হোসেনসহ লঞ্চটিকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ আটক করে।
লঞ্চ মালিক ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে দুরপাল্লার যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে বিআইডব্লিউটিএ’র মধ্যস্থতায় রাতেই ছেড়ে দেয়া হয় আটককৃত লঞ্চ ও মাষ্টার ফারুক হোসেনকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন