শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কাবিখা প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বিপাকে ১০ গ্রামের ১২ হাজার মানুষ

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

রাজশাহীর তানোরে রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের জন্য কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি (কাবিখা) প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কাজ না করে প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তালন্দ ইউনিয়নের ১.২.৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি নারী সদস্য লাইলী বেগম। এ ঘটনায় গতমাসের ২৬ তারিখে উপজেলা নির্বার্হী অফিসার ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাজে ওই ইউপি নারী সদস্যের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান তাকে শোকজ নোটিশ দিয়েছেন। এবং ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ এবং অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তালন্দ ইউপির ১.২.৩ নং ওয়ার্ডের নারায়নপুর গ্রামের চাতরা পুকুরের প্রটেক্টশন ওয়াল নির্মাণ ও মাটি ভরাট কাজে ১২ মেক্টিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। যার সরকারী মূল (৪লাখ১৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে প্রকল্পের সভাপতি ১.২.৩নং ইউপি নারী সদস্য লাইলী বেগম মাটি ভরাট না করে নামে মাত্র একটি প্রটেক্টশন ওয়াল করেই তিন কিস্তিতে ১২ মেক্টিকটন চাল যার সরকারী মূল(৪লাখ ১৪ হাজার টাকা) তুলে আত্মসাত করেছেন।
ওই চাতরা পুকুরের ধারে মাটি ভরাট না করার কারণে পাকা রাস্তা ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে ওই এলাকার প্রায় ১০ গ্রামের ১২হাজার মানুষ রাস্তা দিয়ে চলা ফেরা করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে। রাস্তা দিয়ে ভ্যানও মোটরসাইল ছাড়া অন্য কোন ভারি জানবহন ওই রাস্তা দিয়ে চলা ফেরা করতে পারছেনা।
কাজ না করে সরকারী টাকা আত্মসাতের বিষয়টি এলকাবাসী জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় চেয়াম্যানকে মুঠোফোনের মাধ্যমে জানায়।
এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাসেম তিনজন বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য পাঠান। ঘটনাস্থলে গিয়ে কোন কাজ না করে টাকা আত্মসাতের বিষয় প্রমানিত হয়। এবং তাকে একটি শোকজ নোটিশ দিয়ে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এর জবাব দিয়ে বলা হয়। এ নিয়ে লাইলী বেগম জানান, আমাকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ বিপদে ফেলেছে। প্রকল্পের সভাপতি বানিয়ে কাজ না করে তিনি টাকা তুলে খেয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে অফিস আমাকে প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছে। এবং কাজ করতে বলছে। নিরুপাই হয়ে ধার দেনা করে কয়েকদিনের মধ্যে কাজ শুরু করবো বলে তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন