যশোরের মণিরামপুরে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কাবিখার ৫শ’৫৫বস্তা চাল বাজারে বিক্রির ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠণ হয়েছে। আটক ট্রাক চালক ফরিদ হাওলাদার ও চাল ক্রেতা চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। চাল ক্রেতা ও ট্রাক চালক ঘটনার সময় হাতেনাতে আটক হলেও কাবিখার চাল যাদের নামে বরাদ্দ তারা কীভাবে চাতালে বিক্রি করলো তারা আটক হয়নি। অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার স্কুল ভরাট ও রাস্তা নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজে ওই চাল বরাদ্দ নেন। একটি সূত্র জানায়, একজন রাঘব বোয়াল রয়েছেন এর পেছনে। যার জন্য তদন্ত যথাযথ হচ্ছে না। মূল দায়ী ব্যক্তিরাও রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ৩ সদস্যের একটি তদন্ত টীম গঠণ করেছেন। তদন্ত চলছে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক লিয়াকত আলী বললেন, শার্শা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে প্রধান করে তদন্ত চলছে, প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে যাবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বললেন, কেউ ছাড় পাবে না।
এদিকে, করোনায় রাজনীতি অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু অচলাবস্থা। এর মধ্যেও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা মণিরামপুরে চলছে রাজনীতির নোংরা খেলা। একের পর এক ঘটনা ঘটছে মণিরামপুরে। একে অপরকে কৌশলে কোনঠাসা করতে নানা অপপ্রচার শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দলের মুষ্টিমেয় কিছু লোকজন। প্রচার-প্রচারণা সবকিছুর মূলে রয়েছেন দলীয় পরিচয়ের কয়েকজন। রোববারের একটি ঘটনায় তা স্পষ্ট। যশোরের সিটি প্লাজার মালিক ইয়াকুব আলী এক ট্রাক ত্রাণ নিয়ে মণিরামপুর যান। খবর পেয়ে সেখানে জড়ো হয় শ’দেড়েক লোক। তারা ত্রাণ না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ত্রাণ যথাযথ নিয়মে বিতরণ করতে হবে বললে উপস্থিত ব্যক্তিদের তালিকা করার নির্দেশ দেন। তালিকা অনুযায়ী ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে সবাই যে যার মতো বাড়ি ফিরে যান। পরবর্তীতে সে মোতাবেক ত্রাণ পৌঁছেদেন সিটি প্লাজার মালিক।
অথচ কয়েকঘন্টার মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত ব্যক্তিদের ছবি প্রচার করা হয় ক্ষুধার্ত, নিরন্ন মানুষ ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ করছেন। ইউএনও ছবিটির কাহিনী বর্ণনা করেন। মণিরামপুরে ক্ষমতাসীন দলের মুষ্টিমেয়দের নোংরা খেলা হিসেবে দলীয় একাধিক সূত্র অভিযোগ করে।
আনোয়ারায় ১ যুবকের মৃত্যু
করোনা সন্দেহে ১০ পরিবারকে লকডাউন
আনোয়ার (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় উপজেলার শিলাইগড়া গ্রামের রাজা মিয়া বাড়ির মৃত আবুল কালামের পুত্র মোহাম্মদ শরীফ (২০) মৃত্যুর পর করোনা সন্দেহে ঐ এলাকার ১০ পরিবারকে সাময়িক লকডাউন করেছেন প্রশাসন।
জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় গলা ব্যাথা ও সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হলে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ করোনা সন্দেহে ঐ এলাকার ১০টি পরিবারকে সাময়িকভাবে লকডাউন করে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার রাতে উপজেলার শিলাইগড়া রাজা মিয়া বাড়িতে। এঘটনায় স্থানীয়রা গ্রামের আশপাশ এলাকার সকল সড়ক ও যানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। রাতেই আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ ও আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ রাত ১২ টা পর্যন্ত অবস্থান করে আশপাশের লোকজনকে এলাকায় ভীড় না জমানোর জন্য সর্তক করেন।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ জানায়, যুবকের মৃত্যুর ঘটনার জানার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ছুটে যাওয়ার পর পুলিশ অবস্থায় নিয়ে করোনা সন্দেহে ১০টি ঘর সাময়িক লকডাউন করা হয়। এব্যাপারের হাসপাতালসহ উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, মৃত্যু যুবকের রক্তের নমুনা পরীক্ষার কাজ চলছে। বিকালের মধ্যে রির্পোট পাওয়ার পর সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, খরব পেয়ে আমরা ঐ এলাকার ১০ পরিবারকে সাময়িকভাবে লকডাউন করে দিয়েছি। এই পরিবার গুলো প্রশাসনের নজরদারীতে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন