মালয়েশিয়ায় অনৈতিক ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে বাংলাদেশের ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে শোকজ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘১০ এজেন্সিকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করি নাই। মালয়েশিয়ার সরকার ১০ এজেন্সিকে দিয়েছে, আমরা দেইনি। আমাদের কাছে সবাই সমান। কেউ ডিমান্ড (চাহিদা পত্র) নিয়ে আসুক, আমরা দিতে পারবো। ১০ জনের বিরুদ্ধে আমি সব সময় ছিলাম, এখনো আছি। আমি সিন্ডিকেশনে বিশ্বাস করি না।’
মঙ্গলবার তাঁর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কুয়ালালামপুর থেকে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ১৪ আগস্ট মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সভাপতিত্বে বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনাবিষয়ক বিশেষ কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের শ্রমিক নিয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়ার একটি প্রভাবশালী চক্রের সঙ্গে মিলে তাদের অনৈতিক ব্যবসা পরিচালনার কারণে বাংলাদেশ থেকে ‘জিটুজি প্লাস’ নামের বর্তমান নিয়োগ পদ্ধতি আগামী ১ সেপ্টেম্বর বাতিল করা হয়েছে।
এজেন্সি ১০টি হলো ইউনিক ইস্টার্ন, ক্যারিয়ার ওভারসিজ, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল, এইচএসএমটি হিউম্যান রিসোর্স, সানজারি ইন্টারন্যাশনাল, রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল, প্যাসেজ অ্যাসোসিয়েটস, আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, প্রান্তিক ট্রাভেলস অ্যান্ড টুরিজম ও আল ইসলাম ওভারসিজ।
কী ব্যবস্থা নেবেন জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনই তাদের শোকজ করব। ব্যাখ্যা চাইব। আমরা ডাটাগুলো আগে কালেকশন করে নিই।’
মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ নুরুল ইসলাম বলেন, বাজার বন্ধের খবরটা সত্যি নয়। মালয়েশিয়ার লোকের দরকার। লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত পরিবর্তন করতে পারে।
মালয়েশিয়ার বাজার বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বাজার বন্ধের বিষয়ে আমরা কোনো চিঠি পাইনি। যে চিঠির কথা বলা হচ্ছে তা সিনারফ্ল্যাক্সকে দেওয়া হয়েছে। চিঠি পেলে যোগাযোগ করব। এ বিষয়ে জানতে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন আজ মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন