পাবনার সাঁথিয়ার নাগডেমরা গ্রামের কলেজ ছাত্রী মুক্তি খাতুন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে বাঁচতে পারেননি। গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার বার্ণ ইউনিটে তিনি মারা যান। সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা গ্রামের উন্মুক্ত জলাশয় দখলকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ও সালাম গ্রæপের মধ্যে বিরোধের জের ধরে গত ১৯ আগস্ট দুপুরে সালাম গ্রæপের লোকজন মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মোজাম্মেলের কন্যা পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মুক্তি খাতুনের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এর আগেই ঘটনার দিন রাতেই মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হক বাদী হয়ে ৩২ জনকে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ ঐ রাতে ও পরদিন অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে আটক করেছে। এই অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছে এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা । মুক্তি খাতুনকে হত্যার প্রতিবাদে এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে রাস্তায় নারী সংগঠন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে আব্দুল হামিদ রোডে মহিলা পরিষদ পাবনা জেলা শাখা মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন