শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

এ সপ্তাহের পদাবলী

প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

লাভ ইজ আ ওয়ান্ডারফুল ডিজিজ
সাঈদ অভি

সম্পর্ক হলো এক পা এগোনো এবং এক পা পেছোনোর ব্যাপার
যে যুবক নারীচারুগ্রস্ত হয়ে প্রেমের নদীতে ডুবে যায় এগারো ফুট
প্রেমিকার পতন হলে সে-ই আবার ভেসে ওঠে বাস্তবতার জলে
এদের চোখই আমরা ঘন ঘন লাল থাকতে দেখি এমনকি
বর্ষা শেষ হওয়ার পরেও

সম্পর্ক হলো একসাথে পাশাপাশি বসা
এবং একসাথে পাশাপাশি না-বসার ব্যাপার
এই পৃথিবীর দুটো পৃথক মানুষ অদ্ভুত সৌন্দর্যপূর্ণ ঘাসের উপর
একসাথে না বসলে কখনো কি নিজেদের কাছাকাছি আসতে পারে?
আমরা কোনোদিন এর উত্তর জানতে চাইনি, শুধু মুখস্ত জানি
লাভ ইজ আ ওয়ান্ডারফুল ডিজিজ

কাউকে আমরা জিজ্ঞেস করতে সাহস করি না এই রাস্তায় যে রিক্সা
দু’জন নিয়ে চলে যায় সে রিক্সায় কেনো একজন ফিরে আসে?
কেনো বেলা পড়ে এলে প্রিয়জন প্রশ্ন করে-‘ভালো আছো তো?’
এইসব দুর্ঘটনা বুকে পুষে ইদানীংকার লোকেরা
অনবরত কাটিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘতম রাত্রিবেলাগুলোও
এভাবে হয়তো জীবন আর বেঁচে থাকার মধ্যে পার্থক্য করা শেষে
বিছানায় গা এলিয়ে শুয়ে পড়া যাবে, তারপর, একদিন ভোর হলে
আবার ভাবা যাবে কে যেন কাকে কবে বলেছিল-‘তবুও...
সম্পর্ক হলো এক পা এগোনো এবং এক পা পেছোনোর ব্যাপার’

রেড অ্যালার্ট
নেহাল হাফিজ

আবারো বাংলার আকাশে চিল- শকুনের আনাগোনা
ভয়ঙ্কর ডাকিনী-যোগিনী পথে পথে ওঁৎ পেতে আছে;
যে কোন সময় ছোঁ মেরে তুলে নিতে পারে
বিড়াল আর হরিণের ছানা
সবুজের চারণভূমি থেকে অশ্লীল নোখের ছোবলে।

তোমাদের যার যা আছে তা নিয়ে
তৈরি থাকো, বাংলার বলাকারা
ঠিক করো নিশানা; ওসব সা¤্রাজ্যবাদী
চিল-শকুনের চোখ আর বুকে করো প্রত্যাঘাত
মারো... মারো ওদের মাথায়, বুকে
যার যেখানে খুশি করো পদাঘাত,
নির্লজ্জ ভ- কাপালিক বাংলা ছাড়–ক একাত্তরের মতো,
আবারো এ মাটির দু’চরণে
নিঃশর্ত হাত তুলে ভূপাতিত হোক।


আমার নাম বাংলাদেশ
নূর মোহাম্মদ

আমি আছিÑ
দখিন হাওয়ায় ঝনঝনানি শব্দে দোলা পাগল করা
সোনা ভরা ক্ষেতের সাথে।
কখনও বা;
নবিন হাওয়ায় গাঁও বা পাড়ায় নয়াচালের মনমাতানো
পিঠা পুলি ঘ্রাণের সাথে।

আমি আছিÑ
সাগর নদীর দ্বীপ বা লেকে ঊষার সুখে জেগে ওঠা
কলকাকলি পাখির সাথে।
কখনও বা;
হাওর কায়ায় ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দমাখা শিয়াল ডাকা
চন্নী ফসর রাতের সাথে।

আমি আছিÑ
গ্রাম্য চাষির কাদামাটির অঙ্কুরিত নবাগত
সফেদ সতেজ জালার সাথে।
কখনও বা;
নাব্য পলির চর বা জমির লোকায়িত অনাগত
স্বপ্নভরা আশার সাথে।

আমি আছিÑ
ক্লান্ত পথিক শান্ত হতে যেথায় শুনে ভরদুপুরে
কোকিল ডাকা গাছের সাথে।
কখনও বা;
পাগল হাওয়ার বিকাল হলে সবুজ সুখের ঢেউ খেলানো
হাওর বাঁওড় বিলের সাথে।

তাই তো বলি-
কৌতূহলী রাষ্ট্রগুলি আমায় বলে নাম কি তোমার
কও না তোমার ঠিকানাটা!
তখন বলি;
আমার নাম ‘বাংলাদেশ’ দেখাই বেশ ভালো করে মাথায় বেঁধে
লাল সবুজের পতাকাটা।

এশার আযান ধ্বনি
কাজী রিয়াজুল ইসলাম

এখন সারাক্ষণ ভেসে আসে চারদিক থেকে
এশার আযান ধ্বনি। সম্মুখে বেরিগেট অদৃশ্য পর্বত,
বিদায়ী স্বপ্নের ফাগুনের হাওয়া চুপে চুপে বলছে ডেকে
দিবালোকে কতো দিন আর এঁকে যাবে জীবনের প্রচ্ছদ?

ওঠো ওঠো, একবার দেখে এসো তুমি
আপন কর্মের ফসলে ভরা অদেখা সৌরজগৎ;
একি! সামনে-পিছনে, ডানে-বামে শুধু ধু-ধু মরুভূমি
আবদ্ধ আঁধার গোলকের মাঝে চিনতে পারি না দিক-পথ।

কি করি? আতঙ্কে কাঁপতে থাকি থর থর করে,
সেকি এক বিশাল তালা আঁটা দেখি সময়ের ঘরে!
চারদিক থেকে ভেসে আসে শুধু এশার আযান ধ্বনি;
তোমাকে কেমন যেন অচেনা মনে হয় আজ প্রিয় কলোনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন