অনুভূতি
সৈয়দ রনো
আমি কখনই আমার ছিলাম না
ছিলাম তারুণ্যের উন্মাদনায় কলাবতীর প্রেম
শুভ্র ছেনালির চুম্বনে সেদিন
হামাগুড়ি দিয়ে কথা হয়েছিল হৃদয়ে হৃদয়ে
ফুরফুরে দক্ষিণা বাতাস উড়িয়েছে ঘোমটার আঁচল
কলাবতী হেসেছে কেঁদেছে
বেঁধেছে বুক আনন্দের চৌকাঠে
আর আমি
আমার কথা আপনারা নাইবা শুনলেন
অন্ধ ভালোবাসার নদে
কতই না খেলেছি ডুব সাঁতারের খেলা
কলাবতী সেও ভিজিয়ে রেখেছে
অনুভূতির আঙিনায়
আমোদে আহ্লাদে
সূর্যের কিরণ হয়ে খেলেছে
চাঁদের সাথে লুকোচুরি
এই যে পৃথিবীটা দেখছেন
দেখছেন মাথার উপর প্রশস্ত আকাশ
এ সবই ছিল আমাদের প্রেমের বিস্তৃত আঙিনা
কামনার নোনাজলে ভিজিয়ে রেখেছি
এক বুক আকাক্সক্ষার সুখ
অনুভূতির নীলাভ সন্ধ্যায় ঝরিয়েছি আকুতির মেঘ
সেই আমি তলিয়ে গেলাম
বাস্তবতার কূলভাঙা স্রোতে
সেদিন নীরবে নিভৃতে শুনেছি
কলাবতীর হৃদয় আকাশে এখনও উদিত হয়
এক ফালি চাঁদ
এখনও ঢেউ এর তোড়ে ভাঙে দেহের জমিন
না পাবার বেদনায় গুমরে গুমরে কাঁদে মনুষ্যবিবেক
আমিও নিলজ্জ যন্ত্রণার সবটুকু কাঁধে নিয়ে
দাঁড়িয়ে থাকি কষ্টের চাতালে
না, এখন যে আমাকে দেখছেন তা মোটেই আমি নই
আমি এখন সাইক্লোনের ঘূর্ণায়মান চাকায়
দলে পিষে নিঃশেষ হয়ে যাওয়া মানুষের কঙ্কাল
আমার দেহ রেবনের চশমাপরা চোখ
দামি জুতাপরা পা হাত কিংবা আংটি পরা আঙুল
কিছুই আমার নয়
এগুলো সব বিধাতার বন্দিশালা থেকে ধার করে আনা
আমার স্বাধীনতা সে তো জনম জনমের
আষাঢ়ের প্রথম দিন ও কদমফুল
নূর মোহাম্মদ
আষাঢ়ের প্রথম দিনই কদমফুল ফোটে
ঝরঝর বাদলধারা আয়োজনে
শুধু তোমার জন্য।
কদমের পাপড়িগুলো ঠিক তোমার এলোকেশের মতই
আর আমি হাতের চিরুনিতে পাপড়িগুলো আচড়ে দেই।
কদমফুল লজ্জায় লজ্জাবতী !
এলোকেশের ফাঁকে লজ্জাবতী পাপড়ি মেলে দেখে;
আমি ছুঁয়ে যাই পাপড়িগুলো;
ছোঁয়া-ছুঁয়ি আর লজ্জায় আমি আনমনা।
আমি গন্ধ শুঁকি তোমার ঘ্রাণ
আর আষাঢ়ের বাদল স্নান আমায় মুগ্ধ করে!
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন