সাজ্জাদুর রহমান
জ্যোস্না খেয়ালে আত্মবিলাপ
কফিনে কফিনে শাদা ভালোবাসার মোড়ক
চিতায় জ্বলন্ত আগুন ধোঁয়ার কুন্ডলী
নির্বাক শুয়ে থাকা স্নেহের নিরামিষ পালক ফুল,
নিশ্চুপ মহাজন আকাশে পোড়ায় বুকের ওম।
চারপাশে সহস্র ধুঁপকাঠি নিবেদন করে বিনাশের ঘ্রাণ
সাধের কসরৎ জীবন রক্তে ভেজা! রুমালে বেঁধেছে যৈবতী কেশ।
ভালোবাসার অবোধ নিলাম্বরি চকচকে ভ্রুণে
যুবকের দৃঢ় শুক্রবীজ।
আষাঢ়ি গগনে বহমান ডুরে শাড়ির ভাঁজে
ভাঁজে প্রেতাত্মার অগনন নিষিদ্ধ সংলাপ;
পৃথিবীর চাতালে শুকায় মমতার সংসার!
একদিন ভুলে যায় মানুষ দুস্থ দুঃসময়
গোলটেবিলের বুজরু কি আলোচনা
ইতিহাস একাই কথা কয় আলোতে এবং আঁধারেও।
পালক চুঁইয়ে তখনো ঝরে ঘাম জ্যোৎস্না খেয়ালে।
ইতিহাস বের হয় শামুক খোলস থেকে
শিশুর চিবুকের আকুতি জিজ্ঞাসা তখনো আঁকতে থাকে ভবিস্যত।
আলী এরশাদ
প্রতারিত
ভালোবেসে একবার প্রতারিত হলে
ফুল আর চাঁদ দেখে কখনও আগের মতো
আলোড়িত হয় না হৃদয়;
মনে হয় পাখি যেন গাইছে বিষাদগীতি।
আবেগের নদী মরে গিয়ে
সবুজ হৃদয় হয় ধুধু বালুচর।
সারাটাজীবন ধরে দাবানলে পুড়ে স্বপ্নের বাগান।
ভালোবেসে একবার প্রতারিত হলে
হাজার লোকের ভীড়ে
নিজেকে ভীষণ একা মনে হয়।
দুটি চোখ হয়ে যায় আষাঢ়ের নদী
ভেতরে ভাঙন চলে যমুনার মতো।
কারো মুখে ভালোবাসি শুনলেই
হৃদয় গলে না আর মোমের মতন।
বীথি রহমান
পৌষ প্রেম
ভুলে গেছিস প্রিয় মুখ? প্রিয় হাসি, প্রিয় চোখ
আঙুলের খাঁজে প্রিয় হাত
উতলা হতিস যে চুলের সুবাসে, ভুলে গেছিস?
ভুলে গেছিস শাড়ির ভাজ লুকোছাপার শিহরণ
একটা গোপন মানুষ ছিল
খোলা বইয়ের মতোন, ভুলে গেছিস?
ভুলে গেছিস হলদেটে রোদেতে
কি আবেশে জড়াজড়ি এক পৌষ প্রেম নিয়ে
উষ্ণ ঠোঁটে কি দারুণ মাখামাখি, ভুলেই গেছিস?
আমিও বা কম কিসে?
ভুলে গেছি নামধাম, কি ঠিকানা জানা নেই
নতুন মানুষ আজ শিয়রে
আর কেউ ছিল শ্বাসে, কোনোদিন কোনো আশে
ভুলে গেছি নির্ঘাত জেনে নিস!
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন