ওয়াসার পানি জারে ভরে বিক্রি, বিএসটিআই’র লাইসেন্স গ্রহণ না করে অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করে পানি বাজারজাত করায় গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিএসটিআই।
অভিযানকালে ৪টি পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দু’টি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা এবং দু’টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা এবং মালামাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।
বিএসটিআই’র মহাপরিচালক সরদার আবুল কালাম অভিযানে অংশ নেন। বিএসটিআই’র নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসাবে র্যাব সদর দপ্তরের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম -এর নেতৃত্বে এবং র্যাব ও ওয়াসার সহযোগিতায় মহানগরীর মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে চারটি অবৈধ ড্রিংকিং ওয়াটার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সনাক্ত করা হয়। এরমধ্যে বিএসটিআই’র লাইসেন্স গ্রহণ না করে অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করায় নদী ফুড এন্ড বেভারেজ, লালমাটিয়া, পল্লবী, মিরপুর-১১, ঢাকা নামীয় প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা এবং সেইফ ইন্টারন্যাশনাল, মিরপুর-১০, ঢাকা নামীয় প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিষ্ঠানদ্বয়কে উক্ত দন্ড প্রদান করেন। একই অপরাধে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাবাস্সুম ড্রিংকিং ওয়াটার, লালমাটিয়া, পল্লবী, মিরপুর-১১ এবং সোনালী ড্রিংকিং ওয়াটার, মিরপুর-২, ঢাকা নামীয় প্রতিষ্ঠান দুটিকে সিলগালা করা করা হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানদুটির পানির পাম্পসহ প্রায় ১০০০ ড্রিংকিং ওয়াটারের জার জব্দ করা হয়।
অভিযানকালে বিএসটিআই’র মহাপরিচালক সাংবাদিকদেরকে ব্রিফিংয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া এবং প্রধানমন্ত্রী ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিএসটিআই তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। ভোক্তা পর্যায়ে ভেজালমুক্ত খাবার পৌঁছে দিতে বিএসটিআই সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
সরকার নির্ধারিত ১৯৪টি বাধ্যতামূলক পণ্যের পরীক্ষণ, সনদ প্রদান এবং মনিটরিং করার দায়িত্ব বিএসটিআই’র। এর মধ্যে ড্রিংকিং ওয়াটার অন্যতম। বিএসটিআই’র এরূপ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান বিএসটিআই’র মহাপরিচালক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন