মানুষ মাত্রই তার কিছু ভাল দিক থাকবে এবং কিছু খারাপ দিকও থাকবে। তারই মধ্যে বাসা বাঁধে এক বিশেষ অনুভূতি যার নাম ঈর্ষা। অপরের সব ভাল, আর আমার কিছু হচ্ছে না— এই মনোভাব থেকে যে মানসিক জ্বলন, ভাল না লাগা, রাগ সৃষ্টি হয় সেটাই ঈর্ষা৷ কিন্তু ঈর্ষা কেন হয়? জেনে নিন তাহলে
মনোবিদ্যা বলছে এক ধরনের অনুভূতিজনিত আঘাত থেকে মানুষ ঈর্ষা করতে শুরু করেন এবং তার মূলে থাকে নিজের কোনও খামতি বা দুর্বল দিক।। কেউ হয়তো পড়াশোনায় খারাপ। যতবার সে পড়াশোনায় ভাল কারও মুখোমুখি হয়, ততবার তার মনের মধ্যে সেই আঘাতটা খুঁচিয়ে ওঠে। অন্য কেউ ‘আমার চেয়ে ভাল’ এই ভাবনাই মানুষের মধ্যে ঈর্ষা তৈরি হওয়ার প্রাথমিক শর্ত। যদিও এই ভাবনা থাকলেই যে ঈর্ষা হবে তা নয়। কখনও এই ভাবনা থেকে নিজের পরিস্থিতি সম্পর্কে মানুষ আরও দুখী বোধ করে।ঈর্ষায় জ্বলতে জ্বলতে তখন সেই মানুষটির ক্ষতি কামনা করে এবং আপ্রাণ চেষ্টা করে ক্ষতি করতে, তখনই এক পা এক পা করে এগিয়ে যায় হিংসার দিকে৷এর পরের ধাপ প্রতিশোধ নেওয়ার পালা৷ এবং একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজের কবর খোঁড়ার প্রস্তুতি৷ ‘অতএব, ঈর্ষা যখন কেবলই হালকা জ্বলন, মানে যতক্ষণ তা ভয়াল হিংসায় পরিণত হয়নি, তখন থেকেই তাকে দমন করার চেষ্টা করুন৷’
জীবনে যা যা হয়েছে, যতটুকু হয়েছে তা মেনে নিন৷ মেনে নেওয়া মানে ভাগ্যের কাছে হেরে যাওয়া নয়। বাস্তব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সঠিক রাস্তায় চলার প্রস্তুতি নিন , যাতে ভবিষ্যতে আরও ভাল কিছু হতে পারেন৷ তাঁর কেন হয়েছে আর আপনার কেন হল না— তা নিয়ে যুক্তি সাজান৷ ভেবে দেখুন, কী কী গুণ থাকায় তিনি সফল হয়েছেন, সে সব গুণ আপনার আছে কি না৷ না থাকলে তা অর্জন করার মানসিকতা বা পরিস্থিতি আছে কি ? বিষয়গুলি পর পর লিখে ফেললে সহজে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবেন৷
ঈর্ষা তৈরি হতে আর একটি উপাদান খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং তা হল নিজের সম্পর্কে হীন মনোভাব। এই হীনমন্যতাই মানুষকে অন্যের সম্পদ, জীবনযাপন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কেরিয়ার, সামাজিক প্রতিষ্ঠা সবকিছু নিয়ে ঈর্ষা করতে শেখায়। তাই ঈর্ষার কোনও শেষ নেই বরং ঈর্ষা জমতে জমতে বিরাট আকার ধারণ করে এবং মানুষকে ক্রমশ অপরাধের দিকে ঠেলে নিয়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন