খুলনা অঞ্চলে আধা নিবিড় পদ্ধতির চিংড়ি চাষে সিপি’র দেশ বাংলা হ্যাচারীর উৎপাদিত পোনায় আশানুরূপ সাফল্য দেখা দিয়েছে।দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় একমাত্র চিংড়ির হ্যাচারী সিপি এসপিএফ সীড হারভেষ্ট পারফরমেন্সে প্রান্তি একোয়া কালচারের ০ দশমিক১৪ হেক্টর আয়তনের ৭-বি পুকুরে চলতি মৌসুমে ৩৫ হাজার বাগদা চিংড়ির পোনা মজুদ করা হয়। মজুদকৃত পোনা থেকে ১৪০ দিন পর ২ হাজার ২০ কেজি বড় সাইজের বাগদা চিংড়ি উৎপাদিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, প্রতি কেজি বাগদা উৎপাদনে দেড় কেজি হিসেবে খাবার সরবরাহ করে প্রায় ৩ হাজার কেজি খাবার দেওয়া হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত চিংড়ির আকার সাইজে বড় যা প্রতি কেজিতে ১৪/১৫ পিচের। সাইজে বড় হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যও বেশী। এ পদ্ধতিতে চিংড়ির উৎপাদন খরচকেজি প্রতি ৪৪০ টাকা। মুজদকৃত পোনার বেঁচে থাকার হার হচ্ছে শতকরা ৮৭% ভাগ। প্রান্তি একোয়া কালচারের প্রকল্প ব্যবস্থাপক এমএ হাসান পান্না জানিয়েছেন, অনেকের ধারণা ছিল দীর্ঘ সময় ধরে চিংড়ি চাষে মাটির গুনাগুন নষ্ট হয়ে এক পর্যায়ে উৎপাদন কমে যায়। কিন্তু এ ধারনা সঠিক নয় বরং আধা নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে দেখা গেছে বিগত ১৬ বছর আগের তুলনায় বর্তমানে উপাদন কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সিপি মাদার থেকে উৎপাদিত পোনায় বর্তমানে হেক্টর প্রতি উৎপাদন দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৪ টন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আলাউদ্দিন বলেন, কক্সবাজার থেকে পোনা সংগ্রহ করে বাগদা চিংড়ি উৎপাদনে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতো। বর্তমানে দেশবাংলা হ্যাচারীর পোনা মজুদ করে চিংড়ি চাষীরা আশানুরূপ ফলপেতে শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে খুলনার পাইকগাছা লোনা পানি কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফর রহমান বলেন, এ এলাকার আবহাওয়া ও পরিবেশে উৎপাদিত দেশ বাংলা হ্যাচারীর পোনায় চিংড়ির উৎপাদন সন্তোষজনক। এতে চিংড়ি চাষীরা ভালো লাভবান হচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন