চেক জালিয়াতি মামলায় সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাসহ দুই জনকে ১০বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাদের উভয়কে ৯ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালীর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক সফিউল ইসলাম এই রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, সোনালী ব্যাংক নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী শাখার অফিসার আলমগীর হোসেন ও সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের এমএলএসএস নূর হোসেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে সোনাইমুড়ী উপজেলার চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গ্রাম পুলিশের ভাতার সরকারি অংশের মোট ৯’লাখ ৪’হাজার ৪’শ ৪৫টাকার ২টি চেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গ্রহণ করে নূর হোসেন। পরবর্তীতে চেক ২টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা না দিয়ে নূর হোসেন সোনালী ব্যাংক সোনাইমুড়ী শাখার অফিসার আলমগীর হোসেনের সহযোগিতায় ভূয়া ও জাল হিসাব খুলে চেকগুলো নগদায়ন করে সব টাকা আত্মসাৎ করেন।
উক্ত ঘটনায় তৎকালীন সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. আব্দুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় দুদককে। তদন্ত শেষে দুদক নোয়াখালীর উপ-পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মঙ্গলবার দুপুরে আসামীদের উপস্থিতিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত উভয়কে ১০বছর করে সশ্রম কারাদন্ড এবং একই সাথে ৯লাখ টাকা করে মোট ১৮লাখ টাকা জরিমানা করেন। দুদক নোয়াখালীর সহকারি পরিচালক মো. মাশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন