শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

সামরিক অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করতেই এ আয়োজন : পুতিন

৭ দিনব্যাপী রাশিয়ার বিশাল সামরিক মহড়া সম্পন্ন

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

সোভিয়েত বিপ্লবের পর রাশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হলো। দেশটির পূর্ব সীমান্ত তথা সাইবেরিয়ায় গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া মহড়াটি শেষ হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর। ৭ দিনব্যাপী ‘ভস্টক ২০১৮’ নামের এই বিশাল সামরিক মহড়াকে রাশিয়ার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক-প্রস্তুতি বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। ব্রিটিশ গণমাধ্যম এক্সপ্রেস এই মহড়াকে রুশ ভল্লুকের বাড়বাড়ন্ত আখ্যা দিয়ে শিরোনাম করেছে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সতর্কতা’! বৃহৎ এই সামরিক মহড়ায় রাশিয়ার সঙ্গে চীনের অংশগ্রহণকে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো নিজেদের জন্য বাড়তি হুমকি বলে মনে করছে। যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধ নয়, শান্তির বাণীই শোনাচ্ছেন বিশ্বকে। আন্তর্জাতিক সামরিক অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার জন্যই রাশিয়া এমন জমকালো মহড়ার আয়োজন করেছে বলে উল্লেখ করেছে পুতিন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান সিরিয়া নিয়ে সতর্ক করে বলেন, ‘আমাদের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। সম্ভাব্য সব কিছুর জন্য আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকা উচিত।’ তিনি তুর্কি জনগণকে সবকিছুর জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। রাজধানী আঙ্কারায় একটি হেলথ ইভেন্টে বক্তৃতাকালে এরদোগান তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের এই ইঙ্গিত দেন। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা মিখাইল গর্ভাচেভ বলেছেন, আরেকটি যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্ব। তাই পারমাণবিক অস্ত্র, সামরিক রাজনীতিসহ নতুন অস্ত্রের প্রতিযোগিতা থামাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আলোচিত এই মহড়ায় রাশিয়ার প্রতিবেশী চীন ও মঙ্গোলিয়াও অংশ নিয়েছে। তবে উত্তর আটলান্টিক সামরিক জোট (ন্যাটো) সদস্য তুরস্ককে এ মহড়ায় অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হলেও দেশটি তা করেনি বরং মহড়া পর্যবেক্ষণে সাইবেরিয়ায় টিম পাঠিয়েছে তুরস্ক। ৭ দিনের এই মহড়ায় রুশ সামরিক বাহিনীর অন্তত ৩ লাখ সদস্য অংশ নিয়েছে। ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মাহবুব ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:৪৫ এএম says : 0
এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেন কি যে শান্তির বাণি ,রাশিয়া প্রচার করছে ,তার বড় প্রমান,রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞে ,তার ঘৃণ্য একতরফা বিবৃতি ও ভেটো ,সিরিয়া যুদ্ধে মানস পুত্রের সাথে ,জঙ্গি দমনের অপপ্রচার চালিয়ে বড় হত্যাযজ্ঞ সৃষ্টি করে ,নিরাপদ বিশ্ব উপহারের ভাষনে বিশ্ববাসি কপটতা ছাড়া কিছু দেখছে না ।শক্তির সাথে পতন শব্দ আমরা জুড়ে দেইনি ।দুর্বলের উত্থান বড় ভয়ংকর । দেখা যাক,মানব ইতিহাসকে উল্টিয়ে দিতে পারে কিনা পুতিন বোমার দেশ-রাশিয়া?আগামি প্রজন্ম তা অবলোকন করবে ।কি রক্তে মাখানো সাম্য আর কথিত শান্তি ,নিরাপত্তা !!!!!!!!!
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন