রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষাঙ্গন

দক্ষিণ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় উৎসব

প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য
৯ম দক্ষিণ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় উৎসব ২০১৬। উদ্দেশ্য দক্ষিন এশিয়ার দেশ সমূহের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দিক থেকে নিজের দেশকে উপস্থাপন করা। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৪ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি ৫ দিন ব্যাপী ভারতের উত্তর প্রদেশের লক্ষ্মেী রাজ্যের বাবাসাহেব ভীমরা ও আমবেদকার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ উৎসবটি । এই উৎসবে অংশ গ্রহন করে দক্ষিন এশিয়ার ৭টি দেশ বাংলাদেশ, ভারত, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও মায়ানমার। দক্ষিন এশিয়ার ৭টি দেশের প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থী এ উৎসবে অংশ গ্রহন করে। পাঁচ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এ উৎসবে বাংলাদেশের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহন করে।
এই উৎসবে বাংলাদেশর অংশগ্রহনকারী ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৪টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়।এই উৎসবে ৮ টি ইভেন্টে ছিল। ইভেন্ট গুলো হল গান,নাচ, বক্তিতা কৌশল, পোস্টার মার্কেটিং, ফটোগ্রাফি, বিতর্ক এবং মডেলিং। সব গুলো ইেেভন্টে অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন না করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহন ছিল সতস্ফূর্ত।
কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই উৎসবে সাফলতার সহিত অংশগ্রহন করেছে। উৎসবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহন করেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ৪র্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী মৌরি বৈদ্ধ ও লোকপ্রশাস বিভাগের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী অনুপম দাশ বাঁধন। মৌরি ও বাঁধন লাইফ ভোকাল ও গ্রুপ সং এ অংশ গ্রহন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ক্রেস্ট ও ব্যক্তিরগতভাবে সনদপত্র লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পাওয়া ক্রেস্টটি অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফের হাতে তুলে দেন অংশগ্রহনকারী দুই শিক্ষার্থীরা।অনুপম দাশ বাঁধন বলেন,‘ বাংলাদেশ দলের অংশগ্রহনটি অত্যন্ত চমৎকার। আর আমাদের দেশের পারফরমার্দের মাধ্যমেই অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং শেষ দিনে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শেষ হয়। যা আমাদের দেশের জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অংশগ্রহন কারী শিক্ষার্থীরা সব গুলো ইভেন্টে অংশগ্রহন করে। এবং সফলতা অর্জন করে। ক্রেস্ট এবং পুরস্কার লাভ করে।’ মৌরী বৈদ্ধ বলেন, ‘ আমাদের পারর্ফমেন্স এত ভাল ছিল যে আমাদের দেশকে সবাই হাইলাইটস করেছে । সব কিছুতেই অন্যান্য দেশ গুলো বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে চিৎকার করেছে।’
তিনি অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘ অন্য দেশে গিয়ে নিজের দেশকে তথা নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে উপস্থাপন করা আমার জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া, অন্য রকম ফিলিংসের ব্যাপার। সাউথ এশিয়ার অনেক গুলো দেশে না গিয়ে একটি প্লাটফর্মে তাদের প্রোগ্রাম দেখতে পেয়েছি। এটা আমার কাছে অনেক বড় একটা এচিভমেন্ট ।’
ষ এস এম জোবায়ের

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন