গাছ আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আসুন আমরা গাছের যত্ম নেই, বৃক্ষরোপন করে পরিবেশকে সুন্দর করি এবং বৃক্ষনিধন থেকে বিরত থাকি।
আমরা একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারব মানুষ না থাকলে বৃক্ষের কোন অসুবিধা হত না। কিন্তুু বৃক্ষ না থাকলে এ দুনিয়াতে আমাদের অস্তিত্ব অসম্ভব হয়ে পড়ত। আদিকালে মানুষ বনের ফলমূল খেয়ে জীবন ধারণ করত এবং মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে চিরকালই বৃক্ষের উপর নির্ভর করতেই হবে। মানুষের জন্য এই অতি প্রয়োজনীয় নেয়ামত সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, “আমি আকাশের বৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন তৃণলতা সৃষ্টি করেছি, সবুজ গাছ-গাছালি সৃষ্টি করেছি’’। (সূরা আনআম, ১৮ আয়াত)।
প্রকৃতি মানুষ ছাড়া বাঁচতে পারে, মানুষ প্রকৃতি ছাড়া বাঁচতে পারে না। পৃথিবীর মূল সম্পদ হল ভূমি, পানি ও পরিবেশগত বৈচিত্র। আর পরিবেশ-বৈচিত্র্যের অন্যতম কারিগর উদ্ভিদ। আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ বৃক্ষ ছাড়া কল্পনা করা যায়না। আল্লাহ তায়ালা প্রাকৃতিক পরিবেশকে মানুষের জন্য সুস্থ, সুন্দর ও স্বাভাবিক এবং ভারসাম্যপূর্ণ করে সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে পৃথিবীর মানুষকে প্রাকৃতিক-পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দিক নির্দেশনা দিয়ে ঘোষণা করেছেন, ‘তিনিই আল্লাহ, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন। অতঃপর তা (বায়ু) মেঘমালাকে সঞ্চালিত করে। অতঃপর তিনি (আল্লাহ) মেঘমালাকে যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তা স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও, তার মধ্য থেকে বারিধারা নির্গত হয়। তিনি তার বান্দাদের মধ্যে যাদের ইচ্ছা তা (বৃষ্টি) পৌঁছান। তখন তারা আনন্দিত হয়’। (সুরাঃ রূম, আয়াতঃ ৪৮)।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আমি বিস্তৃত করেছি ভূমিকে ও তাতে স্থাপন করেছি পর্বতমালা এবং তাতে উদগত করেছি নয়ন প্রীতিকর সর্বপ্রকার উদ্ভিদ। আল্লাহর অনুরাগী প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য জ্ঞান ও উপদেশ স্বরূপ”(আল-কুরআন-৭-৯) জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনে আমাদেরকে বেশী করে বনায়ন করার নির্দেশ আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেন। ইরশাদ হচ্ছে- “যিনি (অর্থাৎ আল্লাহ) তোমাদের জন্য সবুজ বৃক্ষ হতে (শক্তি) আগুন উৎপাদন করে দিয়েছেন, সে মতে তোমরা তা হতে (নিজেদের) আগুন জ্বালিয়ে নিতে পার”। (সুরা য়াসীন, আয়াত-৮০) পবিত্র কুরআনে আরো ইরশাদ হচ্ছে- তোমরা যে অগ্নি প্রজ্বালিত কর তা লক্ষ করে দেখছো কি? তোমরাই কি অগ্নি উৎপাদন বৃক্ষ সৃষ্টি কর, না আমি? আমি একে করেছি নিদর্শন এবং মরুচারীদের প্রয়োজনীয় বস্ত্র। (সুরা ওয়াকিয়া, আয়াত,৭১/৭৩)। পবিত্র কোরআনে মানুষের জন্য আল্লাহ পাকের অসংখ্য নিয়ামত প্রসংগে স্পষ্টভাবে ইরশাদ হচ্ছে-“মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ করুক। আমিই প্রচুর বারি বর্ষণ করি, অতঃপর আমি ভূমিকে প্রকৃষ্টরূপে (ভালভাবে) বিদারিত করি এবং আমি উৎপন্ন করি শস্য,আংগুর, শাক-সবজি, যায়তুন, খেজুর, বহুবৃক্ষ, বিশিষ্ট উদ্যান, ফল এবং গবাদির খাদ্য, এটা তোমাদের এবং তোমাদের পশুগুলোর ভোগের জন্য। (সুরা আবাসা, আয়াত: ২৪-৩২)।
কোরআনের বিভিন্ন স্থানে বৈচিত্রময় প্রকৃতির কিছু দৃশ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে, যাতে এর বিচিত্র প্রকার বর্ণ, গন্ধ, ও সৌন্দর্য দেখে মানুষ পুলকিত ও অভিভূত হয়। যেন সব কিছুর উন্নতি, অগ্রগতি ও সক্রিয়তা দেখে মানুষ আল্লাহর কুদরতের কথা স্মরণ করে। ইরশাদ হচ্ছে, ‘তিনি তোমাদের জন্য তা (পানি) দিয়ে জন্মান শস্য, জাইতুন, খেজুর গাছ, আঙ্গুরসহ বিভিন্ন ধরনের ফল। অবশ্যই এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে নিদর্শন’। সুরাঃ নাহল, আয়াতঃ ১১।
বনের গাছপালা থেকে শুধু কাঠ রাবার, ওষুধ বা ফল-মূলই সংগ্রহ করা হয় না, এগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি দ্রব্য এবং তেলও পাওয়া যায়। বৃক্ষের পরিশুদ্ধ তেল দ্বারা প্রজ্জ্বলিত প্রদ্বীপের সাথে আল্লাহ পাক তাঁর নুরের উপমা দিয়েছেন। মানুষ চেষ্টা-গবেষণা করলে বৃক্ষ থেকেও উৎকৃষ্ট ধরণের তেল আহরণ করতে পারে। এই উপমা নি:সন্দেহে সেই তথ্যের প্রতি ইঙ্গিত বহন করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে “এবং সৃষ্টি করি এক বৃক্ষ যা জন্মায় সিনাই পর্বতে,এতে উৎপন্ন হয় ভোজনকারীদের জন্য তেল ও ব্যঞ্জন”। (সুরা মুমিনুন, আয়াত: ২০১)
হযরত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃক্ষ রোপণকে সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত, হযরত রাসুল (সা.) বলেছেন, মানুষ, পাখী বা পশু তাদের আহার্য গ্রহণ করে তখন তা তার (রোপণকারী) পক্ষে একটি সদকা (দান) হিসেবে পরিগণিত হয় (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)। বন ও বণ্য পশু-পাখী আল্লাহ পাকের দান ও প্রকৃতির শোভাবর্ধক। তাই রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এগুলোর সংরক্ষণের উপরও বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি মক্কা মোর্কারমা ও মদীনা মনোয়ারার একটি বিশেষ এলাকাকে সংরক্ষিত এলাকা বলে ঘোষণা করেছিলেন। ঐসব এলাকায় গাছপালা কাটা এবং সেখানে বন্য পশু-পাখি শিকার করা আজও নিষিদ্ধ। মুসলিম বিজয়ীরা যে দেশে গিয়েছেন সে দেশকে গাছপালা দ্বারা সবুজ করে তোলার চেষ্টা করেছেন। প্রধানত: কোরআন ও হাদীস শরীফ থেকেই তাঁরা এ কাজের অনুপ্রেরণা লাভ করেছিলেন। মুসলিম ইতিহাসে এর যথেষ্ট নজীর রয়েছে। কৃষির উন্নয়ন ও সংরক্ষণের প্রতি মুসলিম খলিফাগণ সব সময় সজাগ ও সচেষ্ট ছিলেন। একদা এক ব্যক্তি হযরত ওমর (রাঃ) এর নিকট অভিযোগ করেন যে, সিরিয়ায় একটি শস্যক্ষেত্র ছিল এবং মুসলিম সৈন্যরা এদিকে যাওয়ার সময় সেটাকে নষ্ট করে দিয়েছে। হযরত ওমর (রাঃ) এ অভিযোগ শোনা মাত্র ঐ ব্যক্তিকে তার শস্যক্ষেতের ক্ষতিপূরণস্বরূপ বায়তুল মাল থেকে দশ হাজার দিরহাম দান করেন (কিতাবুল খেয়াজ)।
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসাসহ যাপিত জীবনের সব কিছুই গাছকে ঘিরে ও গাছকে নিয়ে। মহান আল্লাহর সৃষ্টি বৃক্ষরাজি যে কত বড় নিয়ামত, পবিত্র কোরআনে একাধিক আয়াতে তা প্রমাণিত। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হচ্ছে “তারা কি লক্ষ করেনা, আমি ঊষর ভূমির ওপর পানি প্রবাহিত করে তার সাহায্যে উদগত করি শস্য, যা থেকে তাদের গবাদি পশু এবং তারা নিজেরা আহার গ্রহণ করে’। সূরাঃ সেজদা, আয়াত, ২৭)।
হাদীস শরীফে এসেছে ‘যে ব্যক্তি কোন বৃক্ষরোপন করে, আল্লাহ তায়ালা এর বিনিময়ে তাকে এই বৃক্ষের ফলের সমপরিমাণ প্রতিদান দান করবেন। (মুসনাদে আহমদ)।
বন উজাড়ের ক্ষতিকর দিকঃ বন পরিবেশের সাথে আমাদের প্রাণী জগতের সম্পর্ক রয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য মানব জাতিকেও সবুজ প্রকৃতির সেবা গ্রহণ করতে হবে। শিল্প বিপ্লবের পর থেকে বায়ু-মন্ডলে কার্বন-ডাই অক্সাইড যুক্ত হচ্ছে তা শোষণ করার জন্য পর্যাপ্ত বন থাকা প্রয়োজন। (১) বন ধ্বংসের সাথে জৈব বৈচিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। শুধু বন বিনাশের কারণে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে প্রায় ৫০টি জাতির প্রাণী বিলুপ্ত হতে পারে, ইতিমধ্যে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে বহু প্রজাতির জীবজন্ত। গাছ কাটার মাধ্যমে জীব জন্তুুর আবাসভূমি নষ্ট করার কারণে প্রাকৃতিক ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে। (২) গাছ পরিবেশের প্রাকৃতিক সংরক্ষক। গাছের অভাবে ভূমি ক্ষয় শুরু হয়। আবাদী এলাকা পতিত জমিতে পরিণত হয়। প্রতি বছর বৃষ্টিপাতের ফলে এক হেক্টর জমিতে ক্ষয় হচ্ছে প্রায় কুড়ি টন মৃত্তিকা অথচ গাছপালা এ ভূমিক্ষয় রোধ কর। (৩) বন বিনাশে নদী ভাঙ্গন হয় এবং নদীতে চর জাগে। তাছাড়া নদীতল ভরাট হয়ে যায়, যার ফলে বন্যার প্রকোপ দেখা দেয়। নদী ও সমুদ্রের পানির ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং উঁচু ভূমি পানি ধারনে অক্ষম হয় আবার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। বাংলাদেশের ভিতরে ছোট বড় মোট স্রোতধারার সংখ্যা প্রায় ১৪০ কোটি টন পলিমাটি বহন করে আনে যার শতকরা ২৫ ভাগ বঙ্গোপসাগরে চলে যায়, ৭৫ ভাগ নদীর তলদেশে সঞ্চিত থাকে। গত ২০ বছরে নদীগুলোতে প্রায় ২১ ফুট উঁচু পলিমাটির স্তর সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে দেশের খাল-বিল ও নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং স্বল্প বর্ষণ বা জলোচ্ছাসের কারণে বন্যার আকার ধারণ করে। ১৯৯৮ সালের বন্যার জন্য বিশেষজ্ঞগণ উজানের বন উজাড় প্রক্রিয়াকে ৪০% দায়ী করেন। (৪) ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে উপকূলীয় বন শক্তিশালী প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। উপকূলীয় বন ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছাস থেকে ভূ-ভাগকে রক্ষা করে, কিন্তুু উপকুলীয় বন উজাড় করা হলে ঘূর্ণিঝড় সরাসরি ভূ-ভাগে আঘাত হানে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে গ্রীণ হাউজ প্রক্রিয়ায় আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ১ মিটার সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে আর এতে উপকূলীয় ৫৬.০৮ লক্ষ একর (প্রায় ১৫.৮%) সাগরের নিচে তলিয়ে যাবে। যার মধ্যে ২৯.০৪ লক্ষ একর ফসলি জমি এবং ১৩.০৪ একর বনভূমি সম্পূর্ণ হারিয়ে যাবে। সুতরাং প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ফলে আমাদের বিপুল বনভূমি বিনষ্ট হতে পারে। (৫) বন উজাড়ের ফলে- পাখ-পাখালীর আবাস এবং খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে,ফলে পাখীদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
বনায়ণে আমাদের করনীয়ঃ সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলাদেশের সবুজে বনভূমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে আমাদের অজ্ঞতা, অসচেতনতা এবং লোভের কারণে। বন ধ্বংস করে আমরা আমাদের সুন্দর ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছি। আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থ - সুন্দর জীবন যাপনের জন্য অবশ্যই বনায়ণ করতে হবে। দেশের কোথাও যাতে অনাবাদী কৃষি জমি পড়ে না থাকে সেদিকে আমাদের সকলের দৃষ্টি থাকা উচিত। এই ব্যাপারে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ,সাহাবায়ে কেরামগণ যে ব্যবস্থা অবলম্বণ করেছিলেন এবং বিভিন্ন ধর্মের বিশিষ্ট জনের মতামত অনুসরণ করলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অনাবাদী জমি আবাদ হওয়া সম্ভব। হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে জমির মালিক কেউ ছিল না সে জমিকে যে আবাদ করবে সেই হবে তার সবচেয়ে বেশি হকদার (বুখারী শরিফ)। এভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনগণকে বনায়নে উৎসাহ যুগিয়েছিলেন।
বনায়ণ বা বৃক্ষরোপনে সরকারী, বেসরকারী উদ্যোগ ছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বনায়ণের পাশাপাশি আমাদেরকে অবশ্যই বন সংরক্ষণ এবং বন পরিচর্যায় মনোযোগী হতে হবে। (১) প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত দু’ একর জমি বনায়ন করতে হবে। (২) প্রতিটি ইউনিয়ন ও থানা থেকে শুরু করে প্রতিটি সড়ক,প্রধান রাস্তা এবং রেললাইনের উভয় পাশে গাছ লাগাতে এবং পরিচর্যা করতে হবে। (৩) প্রয়োজনে গাছ লাগানোর জন্য সড়ক ও জনপদের রাস্তার উভয় পাশে নিদিষ্ট মেয়াদে লিজ দেওয়া যেতে পারে। (৪) বিনামূল্যে প্রতিটি ইউনিয়নে চারাগাছ বিতরন করা যেতে পারে। (৫) প্রতিটি সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তা বাধ্যতামুলকভাবে বছরে এক থেকে দুটি গাছ লাগানো। (৬) একটি গাছ কাটার পূর্বে কমপক্ষে দুই থেকে তিনটি গাছ লাগানো। (৭) প্রতিটি সরকারী এবং বেসরকারী স্কুলে ৬ষ্ট থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে একটি গাছ লাগিয়ে পূরো বছর তার পরিচর্যা করতে হবে। শ্রেণী শিক্ষক/শিক্ষিকা তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন। (৮) প্রতিটি সেনানিবাস বনায়ন করবে সেনাবাহিনী। (৯) মসজিদ সংলগ্ন এলাকা বনায়ন করবেন সংশ্লিষ্ট ইমাম সাহেব। (১০) জেলা প্রশাসন প্রতিটি জেলায় নিদিষ্ট পরিমান গাছ লাগানো এবং পরিচর্যার দায়িত্বে থাকবে। (১১) সরকারী-বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় বৃক্ষ রোপনের উপর গুরুত্ব দিয়ে দেশব্যাপী প্রচারণা এবং মাঠ পর্যায়ে জনগণকে বুঝাতে হবে।
এ ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন পৃথক বা যৌথ কর্মসূচী নিতে পারে। সবুজ প্রকৃতি গড়ে তুলতে, বৃক্ষ রোপন, সংরক্ষণ ও পরিচর্যা করতে হবে এবং এ ব্যাপারে দেশের প্রতিটি নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন