তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, তিনি ২৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর জার্মানি সফরে দেশটির সাথে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তুরস্কের সম্পর্কের অবনতি ও তুর্কি মুদ্রা লিরার দাম কমে যাওয়ার পর থেকে দেশটি ইউরোপের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চাচ্ছে। এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, আমার জার্মানি সফরে সম্প্রতি বছরগুলোতে আমাদের রাজনৈতিক সম্পর্কের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ফেলে দেওয়াই হবে আমাদের প্রধান এজেন্ডা। পারস্পারিক লাভের ভিত্তিতে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আবারো চালু করার জন্য এটা একটা পদক্ষেপ হবে। ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর কয়েকজন জার্মান নাগরিকসহ হাজার হাজার মানুষকে বন্দি করার পর থেকে জার্মানি ও তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। তবে একজন জার্মান-তুর্কি সাংবাদিককে মুক্তি দেওয়া ও আরেকজন জার্মান নাগরিককে দেশত্যাগ করার অনুমতি দেওয়ার পর অবস্থার উন্নতি হয়। জার্মানিতে প্রায় ৩০ লাখ তুর্কি ইহুদি বাস করেন যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। তাদের অনেকেরই দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। জার্মান কর্মকর্তারা মনে করেন, তুরস্কে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকার পরও তাদের সম্পর্কের উন্নতি করা ছাড়া কোনো পথ নেই। শুক্রবার তুর্কি অর্থমন্ত্রীর সাথে বৈঠক শেষে জার্মান অর্থমন্ত্রী ওলাফ শলৎস বলেন, জার্মান চ্যান্সেলন অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের সাথে বৈঠককালে এরদোগানের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা চাওয়া হবে না। এই বছর তুর্কি মুদ্রা লিরার দাম ৪০ শতাংশ কমে যাওয়ায় মুদ্রানীতির ওপর এরদোগানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরপর তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরুর অভিযোগ করেছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের সাথে বৈঠক করবেন এরদোগান। আনাদোলু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন