পদ্মায় গত ২৪ ঘন্টায় ২৩ সে.মি পানি হ্রাস পেয়েছে। ফলে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে নাব্য পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করেছে। এনিয়ে গত ৫ দিনে পদ্মায় ১১৮ সে.মি. পানি হ্রাস পেল। লৌহজং টার্নিং ছাড়াও নৌপথের পদ্মা সেতুর চায়না চ্যানেল টার্নি পয়েন্টসহ কয়েকটি পয়েন্টে নাব্য সঙ্কট প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর গতকাল সকাল থেকে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। এনিয়ে টানা ৫ দিন সন্ধ্যার পর ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকলো। এতে ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়েছে। ঘাটে আটকে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসিসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদী শিমুলিয়া অংশে ২৩সে.মি পানি হ্রাস পেয়েছে। এনিয়ে গত ৫ দিনে ১১৮ সে.মি পানি কমলো। এতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ নৌরুটের লৌহজং টার্নিং এ তীব্র নাব্য সঙ্কট দেখা দেয়। একদিকে পানি হ্রাস অপরদিকে উজানের নদী ভাঙনের পলি পড়ায় লৌহজং টার্নিং, চায়না চ্যানেল টার্নিং এ ডুবোচর জেগে উঠায় নৌ চলাচল গত ৫দিন ধরেই চরম ব্যাহত হয়েছিল। ১৪ ঘণ্টা সকল ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর গতকাল সকাল ৭ টা থেকে সীমিত আকারে কোনমতে হালকা যানবাহন নিয়ে ৩/৪ টি ছোট ও মাঝারী ফেরি চলাচল শুরু হয়। এরআগে বুধবার দুপুরে ৩-৪ ঘণ্টা চায়না চ্যানেল টার্নিং এর ডুবোচরে কেটাইপ ফেরি কপোতী, কুমিল্লা ও ডাম্ব ফেরি রায়পুরা হালকা যানবাহন নিয়েই ডুবোচরে আটকে যায়। শক্তিশালী আইটি দিয়ে দীর্ঘ সময় পর ফেরিগুলো উদ্ধার করা হয়। উভয় ঘাটে ৮ শতাধিক যানবাহন আটকে যাত্রী ও শ্রমিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট সহকারী ম্যানেজার মোঃ রুহুল আমিন বলেন, দিনের বেলা হালকা যানবাহন নিয়ে কয়েকটি ফেরি চলাচল করলেও দুর্ঘটনা এড়াতে সন্ধ্যার পর ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। নাব্য সঙ্কট নিরসনে ড্রেজিং চলছে। সঙ্কট নিরসন না হওয়া পর্যন্ত যাত্রী ও যানবাহনগুলোর বিকল্প রুট ব্যবহার করা উচিত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন