জার্মানিতে অবস্থান করা ফেতুল্লাহ গুলেনের শতাধিক সমর্থককে হস্তান্তরে বার্লিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। শুক্রবার বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। পিকেকে এবং ফেতুর হাজার হাজার সন্ত্রাসী জার্মানির রাস্তায় মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ায়। শুক্রবার জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ারের সাথে নৈশভোজে অংশ নিয়ে পিকেকে সন্ত্রাসী দল এবং ফেতুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠন (ফেতু) এর ব্যাপারে জার্মানির ভূমিকার সমালোচনা করেন তিনি। তিনদিনের সফরে বৃহস্পতিবার জার্মানিতে পৌঁছান তিনি। মূলত নিজ দেশের অর্থনৈতিক মন্দায় ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানির বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে এরদোগান এ সফরে গেছেন। অর্থনৈতিক সহায়তা মূল লক্ষ্য হলেও এরদোগান তার ভাষায় সন্ত্রাসী সংগঠন গুলেন নেটওয়ার্কের প্রসঙ্গ বাদ দেননি। এরদোগান ২০১৬ সালে তুরস্কে সংঘটিত অভ্যুত্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা ধর্মীয় নেতা গুলেনকে দায়ী করেন। যদিও গুলেন তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর মেরকেল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ধর্মীয় তাত্তি¡ক গুলেনকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়ার জন্য এবং ২০১৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানে তার জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিতে জার্মানির হাতে যথেষ্ট প্রমাণাদি থাকতে হবে। এছাড়া তুরস্কে ‘সন্ত্রাসবাদের’ অভিযোগে অভিযুক্ত কয়েকজন জার্মানিতে অবস্থান করছেন কিনা সে বিষয়টি বার্লিনের কাছে নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন মেরকেল। শুক্রবার সাংবাদিকদের মেরকেল বলেন, ‘তুরস্কের কাছ থেকে পাওয়া প্রমাণাদি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি, কিন্তু পিকেকে (কুর্দিশ) আমরা যেভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করেছি, সেভাবে গুলেন সমর্থকদের আখ্যায়িত করতে আমাদের পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণাদির প্রয়োজন রয়েছে।’ এর আগে এরদোগান বলেন, ‘আঙ্কারা ও বার্লিনের মধ্যকার গত কয়েক বছরের তিক্ত রাজনৈতিক সম্পর্ক ও অভিজ্ঞতা পুরোপুরি ত্যাগ করে সামনে এগিয়ে যাওয়াই সফরে আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে থাকবে। এ ছাড়াও যৌথ অর্থনৈতিক স্বার্থ বিবেচনা করে উভয় দেশের লাভবান হওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন