বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবলের আরও একটি আসর বসছে আজ। সিলেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে পঞ্চম আসরের খেলা। আগে চারটি আসরের একটিতেও শিরোপা ঘরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৯৯৬-’৯৭, ১৯৯৯, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের পর ফের মাঠে গড়াচ্ছে জাতির জনকের নামের এই টুর্নামেন্টটি। প্রথম দু’আসরে জৌলুস থাকলেও সর্বশেষ এই তিন আসরে বঙ্গবন্ধু কাপ বর্ণ হারিয়েছে। এবারও নেই কোন নামী দামী দল। এশিয়ান ফুটবলের তলানীতে থাকা দলগুলোর পাঁচটি দলসহ বাংলাদেশ টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বদ্বীতা করছে। এই ছয় দলের মধ্যে ফিফা র্যাংকিংয়ে এগিয়ে রয়েছে কেবল ফিলিস্তিন (১০০)। অন্য দলগুলোর র্যাংকিং হলো- ফিলিপাইন ১১৪, তাজিকিস্তান ১২০, নেপাল ১৬০, লাওস ১৭৮ এবং বাংলাদেশ ১৯৩।
গত সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বড়ই তিক্ত। টানা দুই জয়ের পরও গোল ব্যবধানের মারপ্যাঁচে ওঠা হয়নি সেমি-ফাইনালে। বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপকে তাই সাফের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক জামাল ভূইয়াও জানালেন সাফের হতাশা বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে দূর করার প্রত্যয়।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপে লাওসের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। লাওসের বিপক্ষে সর্বশেষ দেখায় দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। এ কারণেই নিজেদের মাঠে, চেনা দর্শকের সামনে লাওসকে হারিয়ে সেরা চারের পথে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য জামালের, ‘সাফে আমরা দুটি ম্যাচ জিতেও সেমি-ফাইনালে উঠতে পারিনি। এটা হতাশার বিষয় ছিল। এ হতাশা আমরা বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে দূর করতে চাই। এটা আমাদের জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ। লাওসকে হারাতে পারলে আমরা অনেকটাই সেমি-ফাইনালে উঠে যাব। তাই কালকের ম্যাচটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এ ম্যাচের জন্য দলের সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশ স্কোরারের সমস্যায় ভুগছে। বর্তমান দলে থাকা মাহবুবুর রহমান সুফিল, নাবীব নেওয়া জীবন, তৌহিদুল আলম সবুজ ও মতিন মিয়ার কাঁধে এখন দায়িত্ব। জামাল আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের সুযোগ কাজে লাগানোর তাগিদ দিলেন, ‘আমাদের স্কোরারের সমস্যা অনেক দিনের এবং এ কারণেই আমরা গোল করতে পারি না। তবে লাওসের বিপক্ষে আমাদের ফরোয়ার্ডদের আরও কার্যকর হতে হবে এবং গোল করাটা নিশ্চিত করতে হবে। কেননা লাওস ভালো দল।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন