লক্ষীপুরে মাদরাসার ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মা-বাবা, ভাইসহ ৫ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বখাটেরা। গত রোববার রাত ৮টার দিকে জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন হাজিরপাড়া ইউপির বড়ভল্লবপুর গ্রামের আবুল কালামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে চন্দ্রগঞ্জ থানায় নিয়ে আসার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানায়, বড়ভল্লবপুর গ্রামের লুৎফুর রহমানের মেয়ে ও আয়েশা (রাঃ) কামিল মাদরাসার আলিম ১মবর্ষের ছাত্রী তাসলিমা আক্তারকে মাদরাসায় যাওয়া-আসার পথে স্থানীয় বখাটে বিনা, সোহান, ইমন, মোহনসহ কয়েকজন দীর্ঘদিন যাবত কুপ্রস্তাব দেওয়াসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। প্রতিদিনের ন্যায় রোববারও একই কায়দায় ওই মাদরাসা ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানি করে বখাটেরা। এতে ছাত্রীর অভিভাবকরা প্রতিবাদ করেন এবং মাদরাসার কর্তৃপক্ষ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানান। এতে বখাটেরা ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ধ্যার পর ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুরসহ ছাত্রীর মা-বাবা, দুই ভাই এবং পার্শ্ববর্তী ১ জনসহ ৫ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আহতরা হলেন, ওই ছাত্রীর বাবা লুৎফুর রহমান, মা বকুল বেগম, ভাই বাবলু ও বাতেন এবং প্রতিবেশী ফোরকান মিয়া। একপর্যায়ে তারা ওই ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। উল্লেখিত বখাটেরা সবাই পার্শ্ববর্তী বসুদুহিতা গ্রামের বাসিন্দা। ভিকটিম মাদরাসা ছাত্রীর বাবা আহত লুৎফুর রহমান ও মা’ বকুল বেগম জানান, বখাটেদের কারণে আমাদের মেয়ে পড়ালেখা করতে মাদরাসায় যেতে চায়না। মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে অশ্লীল আচরণ করাসহ নানাভাবে তাকে উত্ত্যক্ত করা হয়। আমরা প্রতিবাদ করায় এসব বখাটেরা দলবদ্ধ হয়ে আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, রক্তাক্ত জখমী ৫ জন থানায় এসেছে। তিনি বলেন, মাদরাসার ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের ঘটনার প্রতিবাদ করায় হামলা হয়েছে নাকী অন্যকিছু মামলা হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন