মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

আহা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

আহা প্রিয়াঙ্কা! তোমার জন্য আক্ষেপ করলেন আমাদের মহামান্য প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১তম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ভারতের জনপ্রিয় নায়িকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে নিয়ে রসিকতার সুরে আফসোস করে বললেন, ‘সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে দশ বছরের ছোট নিককে বিয়ে করলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া! কিন্তু যদি রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফরের পর ঢাকায় এসে একবারের জন্য বঙ্গভবন আসতেন; তাহলে অন্যরকমের কিছু ঘটতেও পারতো’। এ সময় প্রেসিডেন্ট বিবাহিত জীবনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমি বিয়ে করেছি বিরানব্বই হাজার চারশ’ সেকেন্ড হয়ে গেছে। আসলে আমাদের বিয়ের ৫৪ বছর দুইদিন হয়েছে। কম বয়সে বিয়ে করে ফেলেছিলাম। এই ৫৪ বছরের বিবাহিত জীবনে একজন মহিলা আমার সব কিছু বুঝে ফেলেছেন। আমি কী ভালো, কী মন্দ করতে পারি।
সবকিছুই কিন্তু তার কন্ট্রোলের ভিতরে। আমি যখন স্পিকার ছিলাম তখন নারী নির্যাতন বিল পাস করার সময় সংসদে ‘পুরুষ নির্যাতন বিল’ পাস করা দরকার বলেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বললেন, এটা এখন প্রয়োজন নাই। যদি হয় তখন দেখা যাবে। প্রায় ৬ বছর চলে গেছে, এখনো আইনটি পাস করে নাই। প্রধানমন্ত্রী তো খবর রাখেন না। শুধু আমার ঘরে না, সারা বাংলাদেশে যে পুরুষ নির্যাতন হচ্ছে না তা নয়। কিছুটা হলেও হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা টের পাচ্ছেন। উদাহরণ টেনে প্রেসিডেন্ট বলেন, কয়েক মাস আগে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফরে ঢাকায় এসেছিল। সাধারণত বিদেশি অতিথিরা ঢাকা সফরে এলেই সৌজনতাবশত বঙ্গভবনে আসেন। আমি স্ত্রীকে বললাম, নায়িকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আসবে। আসার একদিন আগে তাকে বলেছি। পরে শুনেছি আমার স্ত্রী নাকি প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোন করে বলেছে ‘প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বঙ্গভবনে আসার দরকার কী?’ এটা তো ষড়যন্ত্র। শেষ পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আর বঙ্গভবনে আসেনি। আফসোস থেকে গেল! ঢাকা ঘুরে যাওয়ার কয়েকমাস পরে শুনলাম প্রিয়াঙ্কা আমেরিকায় নিক নামে তার চেয়ে দশ বছরের ছোট এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি তার চেয়ে ৩০/৩৫ বছরের বড়। খারাপ ছিল না তো! দশ-বারো বছরের নিচে যদি প্রিয়াঙ্কা নামতে পারে; তাহলে তো সে ৩০, ৩৫, ৪০ বছর ওপরেও উঠতে পারতো। এ রকম সুযোগ নষ্ট করা ঠিক হয়নি। অন্তত এই উপমহাদেশের একটা মেয়ে যদি আসতো, কোনো ঘটনা ঘটতো, তাহলে তো সুদূর সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে তাকে আমেরিকায় নাও যেতে হতো। প্রেসিডেন্টের এই রসিকতায় পুরো সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হাসির রোল পড়ে যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন