বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

ইসলাম সব চাইতে দ্রুত প্রসারণশীল ধর্ম : এতে আত্মতুষ্ট হলে চলবে না

মোহাম্মদ আবদুল গফুর | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টার (পিআরসি)-এর মতে, ইসলাম বর্তমানে সব চাইতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ধর্ম হয়ে উঠেছে। ১৯৯টি দেশের মধ্যে ২০১৫ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের ধর্মীয় রূপরেখায় একথা বলা হয়েছে। এর আগে পিআরসির ধর্মীয় বিষয়ক এক গবেষণায় ইসলামকে বিশ্বের সব চাইতে দ্রুত বিস্তারলাভকারী ধর্ম হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। পিউ রিসার্চ সেন্টার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যারা নানা ধরনের সামাজিক, ভৌগোলিক ও ব্যক্তি মতামত নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করে থাকে। পিআরসির গবেষণালব্ধ তথ্য আর উপাত্তকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যেমন বিবিসি, সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট-এর মতো সংবাদ মাধ্যমগুলোতে তা প্রকাশ করা হয়।
পিআরসির গবেষণায় বলা হয়, আগামী ২০৭০ সালের পর বিশ্বে ইসলাম হবে সব চাইতে জনপ্রিয় ধর্ম। এর আগে ২০৫০ সাল নাগাদ মুসলিম জনসংখ্যা হবে খ্রিস্টানদের প্রায় সমান। ইসলাম হবে বিশ্বে সব চেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্মবিশ্বাস। সারা বিশ্বের জন্মহার, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারা এবং ধর্মান্তর পরিসংখ্যানের তথ্যের ভিত্তিতে এ সমীক্ষা করা হয়।
গবেষণায় বলা হয় ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা মুসলিম দেশ হিসাবে পরিচিত ইন্দোনেশিয়াকেও ছাড়িয়ে যাবে। মুসলিম জনসংখ্যার দিক দিয়ে ভারত ইন্দোনেশিয়াকে ছাড়িয়ে গেলেও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে। এতে বলা হয়, প্রতিটি ধর্মের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এরমধ্যে সব চাইতে বেশি বৃদ্ধি পাবে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা। এর পরেই রয়েছে খ্রিস্টান ও হিন্দু জনসংখ্যা।
সমীক্ষার তথ্যে দেখা যায়, ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীদের সংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে গিয়ে দাঁড়াবে ২৭৬ কোটিতে। ঐ সময় মুসলমানরা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ হবে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৯শ’ কোটি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গবেষণায় বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে মুসলমান ও খ্রিস্টানদের মধ্যে একটা সমতা বজায় থাকবে। খ্রিস্টানদের সংখ্যা বাড়লেও মুসলমানদের হারে বাড়বে না। মুসলমানদের সংখ্যা হবে ২৮০ কোটি যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ এবং খ্রিস্টানদের সংখ্যা ২৯০ কোটি (মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ) গিয়ে দাঁড়াবে। যদি এই ধারা চলতে থাকে তাহলে ২০৭০ সালের পর ইসলামই হবে বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় ধর্ম।
২০৫০ সালে ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ হবে মুসলমান, যা ২০০৯ সালে ছিল ৫ শতাংশের সামান্য বেশি। অর্থাৎ ২০৪০ সালের প্রতি ১০ জনের মধ্যে হয় একজন মুসলমান না হয় খ্রিস্টান হবে। একই সময়ে ইউরোপে হিন্দুদের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। অভিবাসনের ফলেই এটা ঘটবে।
গবেষণায় বলা হয়, সামনের দিনগুলোতে একদিকে বাড়বে যেমন ধর্মহীন মানুষের সংখ্যা, ঠিক তেমনি বিপুল সংখ্যক মানুষ ধর্মবিশ্বাস বিশেষ করে ইসলামে ধর্র্মান্তরিত হবে। আরও বেশ কিছু তথ্যে উঠে এসেছে পিউর গবেষণায়। যুক্তরাষ্ট্রে নাস্তিকসহ ধর্মহীনদের সংখ্যা ১৬ শতাংশ থেকে ২৬ শতাংশে উন্নীত হবে। তবে বিশ্বব্যাপী নাস্তিকসহ কোনো ধর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন, এমন মানুষের সংখ্যার হার হ্রাস পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রে খ্রিস্টানদের সংখ্যা ৭৮% থেকে হ্রাস পেয়ে ৬৬% হবে। ইসলাম হবে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। ইহুদী ধর্ম নেমে যাবে তৃতীয় স্থানে। সাব-সাহারা অঞ্চলের আফ্রিকান দেশগুলোতে বিশ্বের মোট খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ৪০% বসবাস করবে। ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি খ্রিস্টান বসবাস করবে নাইজেরিয়ায়। গবেষণায় জানানো হয়, বিশ্বে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ৩৪ শতাংশ হারে বাড়ছে। এর ফলে জনসংখ্যা ১ বিলিয়ন থেকে ২০৫০ সালে ১ দশমিক ৪ বিলিয়নে গিয়ে দাঁড়াবে, যা মোট জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ। বিশ্বের জনসংখ্যার আধিক্যের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এছাড়া কোনো ধর্মের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন মানুষের সংখ্যা হবে ১৩.২ শতাংশ। বর্তমানে এরা জনসংখ্যার দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গবেষণা মতে, আগামী ৪ দশকে বিশ্বে মুসলিমের সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়লেও বৃহত্তম ধর্মীয় জনসংখ্যা হবে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। ২০১০ সালে বিশ্বে খ্রিস্টান জনসংখ্যা ছিল ২.১৭ বিলিয়ন, যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১.৬ বিলিয়ন। সেখানে ২০৫০ সালে বিশ্বে খ্রিস্টান জনসংখ্যা হবে ২.১ বিলিয়ন, যা মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ। মুসলিম জনসংখ্যার হবে ২.৮ বিলিয়ন, যা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। আর বৌদ্ধদের সংখ্যা বাড়বে শুধু মাত্র চীন, জাপান ও থাইল্যাণ্ডের মতো কয়েকটি দেশে। মেসিডোনিয়া, নাইজেরিয়াসহ প্রায় ৫১টি দেশে মুসলিম জনসংখ্যা ৫০% এর ও বেশি হবে। মেসিডোনিয়া আর বসনিয়া খ্রিস্টান প্রধান থেকে মুসলিম প্রধান দেশে পরিণত হবে।
পৃথিবীতে মুসলিম জনগোষ্ঠির বিপুল বৃদ্ধির অনেক কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে উচ্চ জন্মহার। ইউরোপ রাশিয়া চীনসহ আমেরিকার দেশগুলোর ধর্মহীন জীবন যাপন করা, লিভটুগেদার করার প্রবণতার ফলে বিয়ে সংসার করে বাচ্ছা-কাচ্ছা নেওয়ার প্রবণতা অনেক কম। তাছাড়া তাদের টোটাল ফার্টিলিটিও কম। তাই এসব অঞ্চলের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা নিতান্ত অপ্রতুল (বৃদ্ধির হার ১.০ থেকে ২.০)। পিআরসি বলে, বিশ্বের ১৭৫টি দেশের ২ হাজার ৫০০ জরিপ থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এই বিশ্লেষণ করেছে পিউ। তবে তারা এটাও বলেছে যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বড় ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক পরিবর্তন, সশস্ত্র যুদ্ধ ইত্যাদি বিষয়গুলো এই স্বাভাবিক প্রবণতাকে ব্যাহত করতে পারে। তা না হলে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের ধর্মভিত্তিক মানচিত্র হবে এরকমই। পিউ রিসার্চের ২০১৭ সালের তথ্যেও দেখা যায়, ইসলাম হচ্ছে সর্বাধিক জনপ্রিয় রাষ্ট্রীয় ধর্ম। শিয়া ও সুন্নী মিলিয়ে ২৭টি মুসলিম দেশে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসাবে ইসলামকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
পিউর গবেষণায় বলা হয় ২০৫০ সালে ইউরোপের ১০ শতাংশ মানুষ মুসলমান হয়ে যাবে। একই সময় নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের সংখ্যা দাঁড়াবে ২.১ শতাংশ। সেখানে মুসলমানদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ৪৮ শতাংশ মার্কিনীর। অন্যদিকে দলীয়ভিত্তিতে ৫৬ শতাংশ ডেমোক্র্যাট মুসলিমদের পছন্দ করে। তবে রিপাবলিকানদের মধ্যে মুসলিমদের পছন্দ করে ৩৯ শতাংশ।
এদিকে চীনে প্রতিনিয়তই মুসলিম নির্যাতনের খবর শোনা যায়। কিন্তু চীনা তরুণদের মধ্যে দেখা যায় বিপরীত চিত্র। নতুন এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, চীনা তরুণদের কাছে সব চেয়ে জনপ্রিয় ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। সেখানকার মুসলমানদের রোজা রাখা নারীদের হিজাব পরাসহ ইসলাম পালন নিষিদ্ধ করার প্রেক্ষাপটে এই তথ্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বেইজিংয়ের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্র পরিচালিত ‘চীনা ধর্ম জরিপ’ শীর্ষ গবেষণায় বলা হয়, ৩০ বছরের নিচে তরুণদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। এর আগে ২০১০ সালে পিউ রিসার্চ জানায় যে ‘নাস্তিক’ চীনে ২ কোটি ৩৩ লাখ মুসলমান বাস করে, যা মোট জনসংখ্যার ১.৮ শতাংশ। পিউ রিসার্চের গবেষণায় বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে চীনের মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩ কোটিতে উন্নীত হবে।
চীনে মুসলমানদের জন্মহার সব চেয়ে বেশি, গড়ে ১.৭। দেশটির গড় জন্ম হার ১.৪ শতাংশ।
উপরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের জনসংখ্যার পরিবর্তনের যে চিত্র প্রকাশ করা হলো তাতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, বিশ্বে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা দ্রুততম গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে, মুসলমানদের এই সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে মাথা ব্যথা কাদের? নিশ্চয়ই যারা মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পছন্দ করে না, তাদেরই মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে মাথা ব্যথা হবার কথা। আরও প্রশ্ন ওঠে, পৃথিবীতে যদি ইসলাম দ্রুততম প্রসারণশীল ধর্ম হয়ে থাকে তাহলে পৃথিবীতে জনসংখ্যার মধ্যে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা বহুদিন ধরেই বৃহত্তম রয়ে যায় কী করে? মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াকে যারা অপছন্দ করে তাদেরই পরিকল্পিত চেষ্টা হতে পারে মুসলমানদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে প্রচার করে এভাবে তাদের মধ্যে একটা আত্মতুষ্টির ভাব সৃষ্টি করে রেখে অসচেতন মুসলমানদের মধ্যে অধিকতর অসচেতনতা সৃষ্টির পথ উন্মুক্ত করে দেয়া। নইলে মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া রূপী ইসরাইলের প্রধান মদতদাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্যতীত ইসলাম বর্তমানে বিশ্বে সব চাইতে জনপ্রিয় ধর্ম হয়ে উঠেছে একথা বিশ্ববাসীকে জানান দিতে আর কার এমন সীমাহীন আগ্রহ দেখা যাবে?
ইসলাম দুনিয়াতে সব চাইতে দ্রুত প্রসারণশীল হয়ে উঠেছে একথা পৃথিবীকে জানান দিতে তাদেরই সীমাহীন আগ্রহ থাকার কথা যারা ইসলামের সামান্যতম শক্তিবৃদ্ধি দেখতে পছন্দ করে না। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে গেলে যে দেশটির নাম সর্বপ্রথম আসবে সে দেশটি মুসলিম বিরোধী ইউরোপীয় ক্রুসেডের উত্তরাধিকার বহনকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই দেশটিই মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনীদের শত সহস্ত্র বছরের আবাসভূমিতে মুসলমানদের আজন্মশত্রু ইহুদীবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রতিষ্ঠা করে আরব ভূমিতে ইসরাইলের প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিয়ে মুসলমানদের ধ্বংসের লক্ষ্যে প্রধান ভূমিকা পালন করে আসছে।
এই দেশের এক নেতাই সেদিন মুসলমানদের দুই পবিত্র নগরীর অবস্থানমূল সৌদী আরব সম্পর্কে বলেছেন, তাদের সমর্থন ছাড়া সৌদী আরব দুই সপ্তাহও টিকতে পারবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই দেশ যে দেশ মুসলমানদের সামান্যতম স্বাধীন রাষ্ট্রসত্তা যে দেশে গড়ে ওঠে। তার বিরুদ্ধেই তাদের গোপন ও প্রকাশ্য অভিযান পরিচালনাকে তারা অপরিহার্য মনে করে। যে তুরস্কের সাথে তাদের কয়েক যুগ ধরে সুসম্পর্ক চলে আসছিল, তাদের বর্তমান নেতা কিছুটা স্বাধীন মনোভাব পোষণ করাতে তার বিরুদ্ধেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন হুমকি দেয়া শুরু করেছে।
মুসলিম বিশ্বের কোন দেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেই লক্ষ্যপূরণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টার একটুও কমতি নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে গবেষণা সংস্থা ইসলামকে বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে দ্রুত প্রসারণশীল ধর্ম হিসাবে জানান দিতে চেষ্টা করছে, তার উদ্দেশ্য যে মোটেই মহৎ নয়, এটা মুসলিম বিশ্বের নেতাদের কঠোর বাস্তবতার আলোকে উপলব্ধি করতে হবে। নইলে তাদের মধ্যে আত্মতুষ্টির মনোভাব সৃষ্টি হতে পারে, যা গোটা মুসলিম উম্মাহকে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে নিক্ষিপ্ত করতে পারে। সুতারাং মুসলিম উম্মাহর নেতৃবৃন্দকে চোখ-কান খোলা রেখে কঠোর বাস্তবতাকে মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন