ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, সমাজের প্রভাবশালী ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আইন না মানলে সাধারণ মানুষকে আইন মানানো সম্ভব নয়। তাই সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আইন ট্রাফিক আইন ভাঙলে তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না।
গতকাল সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ট্রাফিক সচেতনতামূলক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পাশাপাশি যদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশের কোন সদস্য যদি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে তাহলে তাকেও এক বিন্দু ছাড় দেয়া হবে না। সামনে দুর্গা পূজা শেষ হওয়ার পর আমরা রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আবারো ১৫ থেকে এক মাসব্যাপি ট্রাফিক সচেতনামূলক কর্মসূচির আয়োজন করব।
শিক্ষার্থীদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নিজে এবং অন্যদের ট্রাফিক আইন মানতে সহযোগিতা কর। তাহলে টেকসই উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। আমাদের গর্ব করার অনেক কিছুই আছে- আমরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ভাষার স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এ সব এমনি এমনি হয়নি। দেশের পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার্থীদেরকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রধান বক্তা জাফর ইকবাল বলেন, যানজট দেখে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। দেশ উন্নত হওয়ায় এত যান জট। কিন্তু এই দেশের ট্রাফিক সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তোমাদের নিরালসভাবে কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে ট্রাফিক আইন মেনে চলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। ট্রাফিক আইন-কানুন কিভাবে মানতে হয় তা পাঠ্য বইয়ে থাকা উচিত। যাতে শিক্ষার্থীরা ছোট থেকে ট্রাফিক আইন-কানুন শিখতে পারে।
ট্রাফিক সচেতনতামূলক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- চিত্রনায়ক ফারুক, জাতীয় দলের ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ, চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, রোভার স্কাউটের সারোয়ার মুহাম্মদ শাহরিয়ার, চিত্রশিল্পী নাদের চৌধুরী, চিত্রশিল্পী আহম্মেদ শরিফ, শ্রমিক নেতা এনায়েত উল্লাহ, ফারুক তালুকদার সোহেল, অধ্যাপক মুহতামিম, বিশিষ্ট স্থাপতি মোবাশ্বের হোসেন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন