মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

সরকার ইচ্ছে করলে ঢাকার যানজট নিরসন সম্ভব

খলকু কামাল | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম


বিশ্ব ব্যাংকের এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ যানজট ও বসবাসের অযোগ্য নগরী। ঢাকাকে ভয়াবহ যানজট থেকে বাঁচাতে হলে ঢাকা নগর উন্নয়নের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকের পর বৈঠক করে, সবার কাছ থেকে গঠনমূলক পরামর্শ নিয়ে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে। নতুবা অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা নগরী মানুষ আর যানজটে একেবারে অচল হয়ে পড়বে।
ঢাকায় কেন এতো সীমাহীন যানজট, কেন মানুষের এত আনাগোনা? এর কারণ সরকারকে আন্তরিকতার সাথে চিহ্নিত করতে হবে। প্রবাস থেকে আমরা ঢাকাকে যেভাবে লক্ষ করি তা হলো: বাইরের জেলা থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ আসে উন্নত চিকিৎসা নিতে। আরো আসে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী, যারা মনে করে ঢাকা হচ্ছে উচ্চশিক্ষার শ্রেষ্ঠ স্থান। আর বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ থেকে মানুষের স্রোত ঢাকায় আসে মূলত কর্মসংস্থানের জন্য। ওই সমস্ত দরিদ্র মানুষ মনে করে, ঢাকানগরীর যে কোনো বস্তি এলাকায় থেকে যে কোনো অড জব করেও সংসার চালানো সম্ভব। আর প্রতিদিন আশপাশের জেলার কয়েক লাখ লোক আসে বিভিন্ন অফিস-আদালত থেকে নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানান কাজে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দুই টার্ম ধরে ক্ষমতায় অথচ ঢাকার ভয়াবহ যানজট নিরসনে সরকারের কোন সফলতা নেই। এখনও অনেক রোগী যানজটে আটকা পড়ে পথে এম্বুলেন্সেই মারা যাচ্ছে, এ দুঃখ কাকে বলি। গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ঢাকার এক সেমিনারে বলেন, ঢাকা অপরিকল্পিত একটি নগরী। এটি বসবাসের অযোগ্য। প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই আছে। ঢাকার পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সুয়ারেজের কোনো কিছুই ঠিক নেই। পাশাপাশি পত্রপত্রিকা ও টিভিতে দেখতে পাই, সরকারের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি যানজট নিরসনে এই করবো, সেই করবো করে সময় পার করছেন। ঢাকাবাসী এখন আর বেহুদা কথাবার্তা শুনতে চায় না। নেতা-কর্মকর্তারা কথা যত কম বলবেন দেশ ও জাতি তত বেশি উপকৃত হবে। যানজট নিরসনের ব্যাপারে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী অথবা প্রতিষ্ঠান গঠনমূলক সমালোচনা করলে তাকে সাধুবাদ ও সম্মান দেয়া উচিত। কারণ সে ভুল ধরিয়ে দিয়েছে। যে কেউ ভুল করতে পারে। কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। যানজট নিরসনে একটি কড়া সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে।
দেড় কোটি লোকের শহর ইস্তাম্বুল একদিন বিশ্বের অন্যতম যানজট আর বায়ুদূষণপ্রবণ নগরী হিসেবে খ্যাত ছিলো। বর্তমান রাষ্ট্রপতি এরদোগান দেড় যুগ আগে প্রথমবারের মতো রাজনীতিতে নেমে অখ্যাত সিটি ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হয়ে প্রথম চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ইস্তাম্বুলকে যানজট ও বায়ুদূষণমুক্ত নগরী করবোই ইনশাআল্লাহ। আন্তরিক ইচ্ছা আর সিরিয়াস থাকার কারণে তিন বছরেই অর্থাৎ সময়ের দু’বছর আগেই যানজট ও বায়ুদূষণ রোধ করে নগরের চেহারা পাল্টে দেশবাসীর কাছে হিরো বনে যান তিনি। জনগণের প্রতি তার ষোলআনা কমিটমেন্ট থাকায় এটা সম্ভব হয়। এর পর হিরো ম্যান মেয়র থেকে সোয়া ৮ কোটি জনগণের রাষ্ট্রপতি, সফল রাষ্ট্রপতি থেকে এখন ৫৫টি মুসলিম দেশের নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বের ১৬০ কোটি মুসলিম জনগোষ্ঠীর নয়নমণিতে পরিণত হয়েছেন।
এখন সরকারকে বলতে হবে, তারা কতটা সিরিয়াস। যদি সিরিয়াস হয় আর পদ্মাসেতুর মতো অসাধ্য সাধন অসম্ভব হচ্ছে না। ঢাকার যানজট নিরসনে যত ধরনের মহাপরিকল্পনা করা হোক না কেন, কোনো কিছুতেই সফলতা পাওয়া যাবে না, শুধু গরিব দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার অপচয় হবে। যদি না ঢাকা অভিমুখে কর্মজীবী মানুষের স্রোত বন্ধ করা যায়, যদি খালিস নিয়তে প্রাণ উজাড় করে উদ্যোগ নিতে পারে সরকার তবেই কেবল সফলতার মুখ দেখা সম্ভব।
ঢাকাবাসী যানজট সমস্যার সমাধানে অনেক যুক্তি, পরামর্শ ও বৈঠকের পর বৈঠকের বিভিন্ন খবরাখবর আর দেখতে ও শুনতে চায় না। গত ১০ বছরে বর্তমান সরকারের আমলেই অনেক বড় বড় প্রকল্প তৈরি হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন তেমন নেই। এখন ঢাকাবাসী সত্যিকার অর্থে কাজ দেখতে চায়। আর যাতে ফাইল টানাটানি, একে অপরের দোষারোপ না করে ও সময়ের অপচয় না করে প্রয়োজনে যারা নিঃশর্তভাবে যানজট নিরসনে কাজ করতে চায়, তাদের কাজে লাগানো যায়। তবে এ সমস্যার সমাধান সম্ভবপর হতে পারে ঢাকা উত্তরের মেয়র মরহুম আনিসুল হকের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ও পরামর্শ যদি কাজে লাগানো যায়। ঢাকা শহর যানজট মুক্ত হবেই এবং এতে তার আত্মাও শান্তি পাবে। যেমন তার স্বপ্ন ছিলো, ঢাকায় যত ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, ওই রকম সুযোগ-সুবিধা যদি দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে চালু করা যায় তবে ঢাকার যানজট ও মানুষজট অনেক কমে যাবে। তার কথা হলো, ঢাকায় এতো লোকের বসবাস মূলত ৪টি কারণে। প্রথম কর্মসংস্থান, দ্বিতীয় উচ্চশিক্ষা, তৃতীয় উন্নত মানের সুচিকিৎসা, চতুর্থ বিভিন্ন অফিস-আদালত থাকার কারণে লোকজন এসে ভিড় করে। সরকারের উচিত হবে ৮টি বিভাগের মধ্যে প্রথম টার্গেট নিতে হবে ঢাকার কাছের দুটি বিভাগ ফরিদপুর ও ময়মনসিংহকে। এ দুটি বিভাগের প্রায় ২০/২৫ লাখ মানুষ ঢাকায় বসবাসরত। এর পর রংপুর ও বরিশাল, এভাবে গড়ে তোলা। ওই দু’জেলার ৩০ লাখ অধিবাসী ঢাকায় স্থায়ীভাবে অবস্থান করছে। ঢাকায় সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া সরকারের উচিত এমন একটি নীতিমালা তৈরি করা, যে প্রতিটি বিভাগের ছাত্রছাত্রী নিজ নিজ বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবে। ৮টি বিভাগীয় শহরের একটি সরকারি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে আন্তর্জাতিক মানসম্মত হাসপাতাল স্থাপন করতে হবে। বর্তমানে ৪টি বিভাগীয় শহরে ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বাকি ৪টি বিভাগীয় শহরে একটি করে ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং সাথে সাথে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।
ভারতের দিকে চেয়ে দেখুন। প্রতিটি বড় সিটিতে নামীদামী হাসপাতাল, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাইলট হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ট্রেনিং স্কুল রয়েছে। তারা দিল্লি, বোম্বে, কলকাতা, মাদ্রাজভিত্তিক চিন্তা না করে বিভিন্ন সিটি যাতে দ্রæত আরো উন্নতি শিখরে গিয়ে পৌঁছতে পারে, তার লক্ষ্যে বড় বড় শহরে অধিক হারে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ভারতে উন্নত মানের স্বাস্থ্যসেবা থাকার কারণে শুধু মাত্র বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ২ লাখ রোগী গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে থাকেন। এ থেকে ভারত সরকার বছরে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করছে। আমরা এ পয়েন্টে অধিক গুরুত্ব দিতে চাই যে, ঢাকায় যত বেশি সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে, অন্যান্য জেলার অধিবাসীর চাপ তত বেশি দ্রæত বাড়বে। শুধু কি তাই, পদ্মাসেতু রেডি হওয়ার পর বৃহত্তর ফরিদপুর ও বরিশালবাসী অধিকহারে ঢাকামুখী হবে। তাই সরকারের উচিত সময় নষ্ট না করে তুফান গতিতে উভয় বিভাগে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা শুরু করা।
২৩০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ঢাকায় লোকসংখ্যা প্রায় ২ কোটি। অথচ ঢাকা থেকে চার গুণ বড় শহর নিউইয়র্ক ৭৫০ বর্গ কিলোমিটারের সিটিতে মাত্র ৮৫ লাখ অধিবাসী বাস করে। কারণ বাকি সিটিগুলোতে নিউইয়র্কের কতো সুযোগ-সুবিধা পর্যাপ্ত থাকার কারণে স্বল্প আয়ের মানুষ তার সুবিধা মত আস্তানা গড়ে তোলছে। ঢাকার যানজট নিয়ে অনেক দেনদরবার, অনেক লেখালেখি, অনেক জরিপ চালানো হয়েছে। কোনো কিছুতেই সমাধান হচ্ছে না। আর দেরি না করে এখনই ঢাকার অতি কাছের ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর দুটোকে সব ধরনের আধুনিক সুবিধা দিয়ে গড়ে তোলা প্রয়োজন। পাশাপাশি এর পরে দেশের দুই কর্ণারের দুই বিভাগ রংপুর ও বরিশালকে টার্গেট করতে হবে। উন্নয়নের স্বার্থে প্রতিটি সেক্টরের প্রকল্পগুলো তৈরির সাথে সাথে কড়া সময়সীমা বেধে দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে। এতে ঢাকাবাসী দারুণ উপকৃত হবে। তারা ফিরে পাবে স্বস্তি। যানজট মুক্ত হলে গোটা রাজধানীবাসী সরকারকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে অন্তর থেকে দোয়া করবে।
আমরা নিশ্চিৎ করেই বলতে পারি, শতভাগ আন্তরিকতা ও সহি নিয়তের সাথে নি¤œলিখিত দাবিগুলো পূরণ করলেই ইনশাআল্লাহ ঢাকা যানজট মুক্ত হবে। এখন যা করণীয় তাহলো :
১। টঙ্গী-ঢাকা-কমলাপুর রেল স্টেশন হয়ে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত ট্রেন লাইনের মধ্যে ট্রেনে কাটা পড়ে গত কয়েক বছরে কয়েক শত লোক নিহত হয়েছে। দীর্ঘ এ ২৫ মাইল রেলপথে বেশ কয়েকটি রেল ক্রসিং রয়েছে। ট্রেনগুলো যাতায়াতের পথে ওইগুলো বন্ধ থাকার কারণে হাজার হাজার যানবাহন আটকা পড়ে। তাই মারাত্মক এই ট্রাফিক জ্যাম থেকে স্থায়ীভাবে রেহাই পেতে হলে টঙ্গী টু ঢাকা-কমলাপুর রেল স্টেশন হয়ে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত বর্তমান রেল লাইন মাটির নিচ দিয়ে নির্মাণ করলে হাজার হাজার যানবাহনসহ লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হবে এবং এতে যানজট কমে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
২। ঢাকার সমস্ত গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিকে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে স্থানান্তর করতে হবে। এতে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কর্মী সেখানে চলে গেলে ঢাকার চেহারা বদলে যাবে, কমে যাবে যানজট।
৩। ঢাকার সব ফুটপাত দখলমুক্ত করে শুধুমাত্র শুক্র-শনিবার হকারদের কোথাও বসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। ঢাকা সিটি করপোরেশনকে কাঁচপুর, সাভার ও টঙ্গী পর্যন্ত স¤প্রসারণ করে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।
৫। ঢাকার ভুয়া লাইসেন্স রিকশা, ঠেলাগাড়ি ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করে কঠোর হস্তে বন্ধ করতে হবে।
৬। ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশন পর্যন্ত একটি ওভারব্রিজ অথবা একটি ট্যানেল নির্মাণ হলে প্রবাসী যাত্রীরা এয়ারপোর্ট থেকে নেমে ঢাকা শহরমুখী না হয়ে ওভারব্রিজ দিয়ে রেল স্টেশনে পৌঁছে যার যার গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারবে।
৭। নিউইয়র্কস্থ টাইম স্কোয়ার বাস টার্মিনালের মতো ঢাকার বাস টর্মিনাল ৪/৫ তলা করে নির্মাণ করলে যানজট অনেক হ্রাস পাবে।
৮। ঢাকা সিটির সকল অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাথ দখলদারদের বিরুদ্ধে জোরালো উচ্ছেদ অভিযান চালালে মানুষের যাতায়াত অনেক সহজ ও দ্রæত হবে।
৯. ঢাকার আরো অধিক ফ্লাইওভার ও মেট্রো রেল নির্মাণ, পাশাপাশি লন্ডন, প্যারিস, নিউইয়র্কের মতো পাতাল রেল লাইন (সাবওয়ে ট্রেন লাইন নির্মাণ) হলে ঢাকার লাখ লাখ অধিবাসী সিটির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঝামেলাবিহীনভাবে দ্রæত যাতায়াত করতে পারবে।
১০. ঢাকার সকল গুরুত্বপূর্ণ অফিস-আদালত টঙ্গী ও কালিগঞ্জ উপজেলার মধ্যখানে স্থানান্তর করতে হবে।
১১. ঢাকার চারিদিকে নতুন লিংক রোড নির্মাণ করতে হবে, যাতে বড় বড় যানবাহন ঢাকা সিটিতে প্রবেশ না করে লিংক রোড দিয়ে যার যার গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারে।
১২. ঢাকা থেকে সকল আবাসিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ঢাকা-মাওয়ার আশপাশে সরিয়ে নিতে হবে এবং নতুন কোন প্রতিষ্ঠানকে পারমিশন দেয়া যাবে না।
১৩. দেশের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষা এবং উন্নত পড়াশোনার জন্য ঢাকায় বসবাস করে। ওই সমস্ত ছাত্রছাত্রীর স্বার্থে বিশেষ করে সাবেক আমলের ১৯ জেলার আধুনিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং প্রতিটি জেলার সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজগুলোকে যদি পূর্ণাঙ্গ মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপান্তর করা হয়, তবে তারা নিজ নিজ জেলার ছাত্রীরা পরিপূর্ণ নিরাপত্তার সাথে, কম খরচে সুন্দর পরিবেশে নিজেদের শহরে মাস্টার্স কোর্স সম্পূর্ণ করতে পারবে। এতে ঢাকামুখীতা কমে যাবে।
১৪. যে সমস্ত জেলার অধিবাসী ঢাকায় বেশি অবস্থান করে, সরকারের উচিত তাদের জেলা শহরে পর্যাপ্ত মিল-কারখানাসহ অধিক কর্মসংস্থান, উচ্চশিক্ষা ও আধুনিক স্বাস্থ্য সেবার প্রতি বেশি করে গুরুত্ব দেয়া।
সবশেষে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে বলছি যে, সরকার যদি ১৬ আনা আন্তরিক হয়, তবে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করা সহজ। এখন দেখতে হবে সরকারের মধ্যে কতটুকু সহি নিয়ত ও সদিচ্ছা রয়েছে।
লেখক: গবেষক ও সমাজসেবক, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Mohammad ২১ অক্টোবর, ২০১৮, ২:০৫ এএম says : 0
"অখ্যাত শহর ইস্তাম্বুল" কথাটা ঠিক বলেন নি। কেননা, ইস্তাম্বুল কখনো অখ্যাত ছিল না। এটা ওসমানী খেলাফতের শত শত বছরের রাজধানী, হাজার হাজার বছরের পুরাতন সভ্যতা ও ইওরোপ - এশিয়ার সংযোগস্থল হিসেবে সব সময় পৃথিবীর অন্যতম সেরা পর্যটনস্পট হিসেবে বিখ্যাত ছিল এবং আছে।
Total Reply(0)
Md Ali Haider ২১ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:০৫ এএম says : 0
অরন্যে রোদন!! এরকম পরামর্শ অনেক দেয়া হয়েছে, কিন্তু এটা যাদের জন্য দেয়া তারা এগুলি পড়েও দেখেন না। আমি পত্রিকার চিঠিপত্র কলামে সিগনালের সময় রাস্তার বাম লেন খোলা রাখার আবেদন জানিয়ে অনেক চিঠি লিখেছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বাম লেন খোলা থাকলে ছ’আনা যানজট কমে যেত।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন