সংসদে প্রেসিডেন্টের ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার প্রথম দিনে অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, এ ভাষণে এ সরকারের আমলে দেশের প্রতিটি খাতে অর্জিত বিস্ময়কর উন্নয়নের চিত্র নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে রাষ্ট্রপতি গত ৫ জানুয়ারি এ ভাষণ দেন। রীতি অনুযায়ি এ ভাষণ সম্পর্কে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সরকারি দলের সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় আজ অংশ নেন সরকারি দলের সদস্য শফিকুর রহমান, নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও আনোয়ারুল আবেদীন খান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে একটি প্রযুক্তি নির্ভর উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বিশ্বের বুকে মর্যাদার সাথে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে, তা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের এ উন্নয়ন বিশ্বের অনেক দেশের কাছে অনুকরণীয় হচ্ছে।
তারা বলেন, শেখ হাসিনা ও তার সুযোগ্য ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর হয়েছে। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করে বিশ্বে স্যাটেলাইট ক্লাবের সদস্য হিসাবে দেশকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি চলছে। মেট্রোরেল চালু, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, কর্ণফুলী ট্যানেল নির্মাণ সরকারের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক। শেখ হাসিনার দুরদর্শী ও দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশে^র ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
এছাড়া দক্ষতার সঙ্গে বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবেলা করে দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। করোনাকালে জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ। এধারা অব্যাহত রেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এজন্য তারা নতুন করে শুরু হওয়া ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সূত্র: বাসস
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন