পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হতে থাকায় পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হওয়া সিদ্ধান্ত নিলেও এর তীব্র বিরোধিতা করেছে বিরোধী দল। তবে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, “আগামী দুই মাসের মধ্যে অর্থ সহায়তা পাওয়া না গেলে দেশ দেউলিয়া হয়ে পড়তে পারে।”
শনিবার বনিগালার বাসভবনে একদল সাংবাদিককে ইমরান খান বলেন, “আইএমএফ’র ঋণ আমাদের কাছে কখনো অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয় ছিল না। কিন্তু আমাদের হাতে আর কোনো বিকল্প নেই।” তিনি বলেন, “এবার উদ্ধার পাওয়া পর আইএমএফ’র ঋণের আর প্রয়োজন হবে না।”
আইএমএফ’র দ্বারস্থ হওয়ার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে তিনি বলেন, “আইএমএফ’র কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করা ক্ষতিকর। অনেক শর্ত থাকে তাতে। তবে সময় প্রমাণ করবে যে এটি ছিল সাময়িক পদক্ষেপ।” তিনি বলেন, “আমরা চীন ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলোর সাথে আলোচনা করছি। আশা করছি, ইতিবাচক কিছু সাফল্য পাওয়া যাবে।”
ইমরান খান মঙ্গলবার দু দিনের এক বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরব যাচ্ছেন। তিনি সেখানে পাকিস্তানে অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরবেন।
গত শুক্রবার ইমরান খান কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল সানির সাথেও আলোচনা করেছেন। ইমরান বলেন, তিনি আশা করছেন, কাতার পাকিস্তান থেকে এক লাখ শ্রমিক নেয়ার কাজটি ত্বরান্বিত করবে।
এদিকে ইমরান খান বলেছেন, আর্থিক দুর্নীতি থেকে কেউই রক্ষা পাবে না, সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে।
বিরোধী দলের নেতা শাহবাজ শরিফের (তিনি এখন জবাবদিহি ব্যুরোর হেফাজতে রয়েছেন) সাম্প্রতিক জ্বালাময়ী বক্তৃতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শাহবাজ শরিফ পার্লামেন্টে নেলসন ম্যান্ডেলা হতে চেয়েছিলেন। সূত্র : ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন