শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সংসদে কালাকানুন পাসের হিড়িক চলছে : বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:০১ পিএম

দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই বিনা ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দিয়ে জাতীয় সংসদে কালাকানুন পাসের হিড়িক চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর জাতীয় সংসদে ভোটারবিহীন সংসদ সদস্যদের দ্বারা এখন পর্যন্ত ২৩টি অধিবেশন বসেছে। এর মধ্যে তারা প্রায় দুই শত আইন পাস করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে নিরঙ্কুশ একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই এই আইনগুলো পাস করিয়েছেন। গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত অধিবেশনে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ ও মানুষের কণ্ঠরোধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৮টি আইন পাস করা হয়েছে। চলতি অধিবেশনেও চলছে নতুন নতুন আইন পাসের তোড়জোড়। মানুষ এখন নিজের ছায়াকে দেখলেই ভয় পায়। ঘুমের ঘোরের কথাতেও আঁতকে উঠে। আজকে গণমাধ্যমে এসেছে আরও আইন পাসের জন্য সংসদের চলতি অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশের রাজনীতিসহ গোটাদেশকে কব্জায় নিতে অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী এত কালোআইন পাস করে রেকর্ড গড়তে চলেছেন। তাই তিনি নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব তুলেছেন যা, চলতি সংসদে পাস করতে তোড়তোড় চলছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা পিতার সৃষ্ট বাকশালকে ব্যর্থ হতে দিতে চান না। তাই ভিন্ন কায়দায়, ভিন্ন পন্থায় মৃত বাকশালকে জীবিত করতে এসব আইন করছে। শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছেন ততদিন গণবিরোধী কাজের সমালোচনাও করা যাবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না, ব্যাংক লুটের কথা বলা যাবে না, অপকর্মের কথা বলা যাবে না, গুম ও গুপ্ত হত্যার কথা বলা যাবে না। গত দুদিন আগে তিনি বলেছেন, ৪০টি টেলিভিশন আমি দিয়েছি অথচ তাদের দিয়ে সবচেয়ে ভুক্তভোগি আমরা।
‘আবার ক্ষমতায় আসলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরেয়ে এনে সাজা কার্যকর করা হবে’ জাতীয় সংসদে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য আবারও প্রমাণিত হলো তার মন রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ভরা। উনি রাষ্ট্রক্ষমতা আটকে রেখেছেন জনগণের কল্যাণ নয়, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করাটাই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। সেজন্য তিনি যা ইচ্ছা তাই করার হুমকি দেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলার হিড়িক চলছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, গতকাল তার বিরুদ্ধে মাছ চুরির মামলাও করা হয়েছে। কতটা অসংস্কৃত ও হিংস্র আচরণ করা যায় তার সবটাই প্রয়োগ করা হচ্ছে গণতন্ত্রকামী মানুষদের ওপর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন