বেসরকারি টিভির পাবনার একমাত্র নারী সাংবাদিক সুর্বনা নদী হত্যার প্রায় ২ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও রহস্য উন্মোচিত হয়নি। তদন্ত চলাকালে প্রথমে ডিবি ওসি মনিরুজ্জামান বদলি হয়ে যান। এবার বদলি আদেশ পেলেন এই হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অরিবিন্দ সরকার। তবে, পুলিশ বলছে, বদলি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এতে মামলার তদন্তে কোন বিঘ্ন হবে না।
নারী সাংবাদিক নদী হত্যার তদন্ত ধীর লয়ে চলছে, পুলিশ সেটা স্বীকার করেন না। তারা বলছেন, কখনও ধীরে চলা ভাল। ধীরে চলা মানে পুলিশ কাজকর্ম ফেলে বসে আছেন এমনটি নয়। অভিযুক্ত নদীর সাবেক স্বামী রাজিবকে গ্রেফতারে পুলিশ ও র্যাবের সমন্বয়ে অপারেশন অব্যাহত রয়েছে। রাজিবকে গ্রেফতারে জাল বিছিয়ে রাখা হয়েছে বলে ডিবির ওসি ইসলাম হোসেন জানিয়েছেন। কিন্তু এই জালে এখনও ধরা পড়েনি অভিযুক্ত।
তদন্তকারী কর্মকর্তা অরিবন্দ সরকার বলে ছিলেন, রাজিবকে পাওয়া গেলে, মামলার প্রকৃত কারণ হয়তো জানা যেতো । এর আগে পুলিশ নদীর সাবেক শ্বশুর শিল্পপতি আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে তিনদিনের রিমাণ্ডে নিয়েছিল। এই তিন দিনে পুলিশ তাঁর কাছ থেকে সাংবাদিক নদী হত্যার বিষয়ে তেমন কোন তথ্য পায়নি। তিনি মহামান্য হাইকোর্ট থেকে বর্তমানে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। আবুল হোসেনের মালিকানাধীন ইণ্ডাল কোম্পানীর কর্মচারী মিলনকে র্যাব ১২ ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে। তাকে একদিনের রিমাণ্ডে নেওয়া হয়। তার কাছ থেকেও তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন