জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ উদ্যোগকে আশাব্যাঞ্জক বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমনটি আশা করে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকারও আছে। যুক্তরাষ্ট্র সেই অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন দেখতে চায়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল নয়, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এক প্রশ্নের উত্তরে মার্শা বার্নিকাট বলেন, রাজনৈতিক সংলাপ শুধু একটি দল বা কোনো নেতার ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। এটা সামগ্রিকভাবে দেখতে হবে। আর বিদেশি সহায়তা ছাড়া রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সংলাপ নিজেদের মধ্যে হওয়াটা ভালো। এটি বিস্তৃত হওয়া উচিত। সব বিষয় আলোচনায় থাকা উচিত। তিনি বলেন, দলগুলো নিজেরাই আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে, আমরা আলোচনার বিষয়ে আশাবাদী। সংলাপের পেছনে কোনো ভূমিকা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বার্নিকাট বলেন, ২০১৪ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। উদ্যোগটি চলমান ছিল। সম্প্রতি পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি একটি কঠিন আইন। আমি একা নই, আমার সাথে অনেক কূটনীতিকই এ আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সরকার চাইলে এটি সংশোধন করতে পারে।
এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বার্নিকাট। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি নির্বাচন দেখতে চায় যাতে মানুষের ইচ্ছার প্রকৃত প্রতিফলন ঘটবে। এই প্রক্রিয়াতে অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং নির্বাচনী ইশতেহার প্রদর্শনের সমান সুযোগ দিতে হবে। জনগণই ঠিক করবে তাদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কে দেবে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন। গণতন্ত্রে সবার দায়িত্ব রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের সকল প্রকার আইন রয়েছে। সেসব আইন কমিশনকে সময় মত প্রয়োগ করতে হবে।
সরকারের দায়িত্ব সম্পর্কে বার্নিকাট বলেন, নির্বাচনে সব দলের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে সরকারকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিরোধী দলকে সমাবেশ করতে দিতে হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেকে ভোটার যেন নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারে, সে বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দেখতে হবে। এসব ঠিক রাখলেই ডিসেম্বরে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
নির্বাচন ইস্যুতে অপর এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, চলিত ধারণার কারণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনার ব্যাপারে অনেকের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। এই বাস্তবতা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী খুব স্পষ্ট করেই বলেছেন, তারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চান।
নির্বাচনের প্রস্তুতি সন্তোষজনক কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নির্ভর করছে জনগণ তথা ভোটারদের ওপর, তারা কীভাবে এটা গ্রহণ করে।
ঢাকা থেকে বিদায় নিচ্ছেন মার্শা বার্নিকাট। বিদায় নেয়ার আগে গতকালই ছিল তার শেষ সংবাদ সম্মেলন। বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এক পর্যায়ে তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। বলেন, আমার ৩৭ বছরের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে। বিদায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি বিদায় শব্দটি উচ্চারণ করতে চাই না। কারণ বাংলাদেশ আমার হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবে। বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশে আমার দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করেছি। আমি কেমন করেছি তা এই দেশের মানুষ বলতে পারবে। তবে বর্তমানে ঢাকা-ওয়াশিনটন সম্পর্ক যে মাত্রায় বিরাজ করছে, আমি তাতে খুবই খুশি। নিরাপত্তা, পিস কিপিং, কাউন্টার টেরিরিজমসহ বেশকিছু ইস্যুতে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী।
বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের মধুর সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বার্নিকাট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। জন্মের পর থেকেই বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক। এই গণতান্ত্রিক ধারাকে সামনে আরও শক্তিশালী করা দরকার। তিনি বলেন, আমরা একটি শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য বিরোধী দলও দেখতে চাই। আমরা কোন দল বা জোটকে সমর্থন দিচ্ছি না। আমরা পুরো প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিচ্ছি।
বাংলাদেশের সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ পরিষ্কারভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র সব সময়েই বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে (ক্রস রোড) বাংলাদেশের অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলে বাংলাদেশ যুক্ত হয়ে নিজেদের উন্নয়ন সুবিধা ঘরে তুলবে। বার্নিকাট বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে বাংলাদেশের সামনে আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে। এ দেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমী উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধি আনা সম্ভব।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বার্নিকাট বলেন, রোহিঙ্গা এখন বিশ্বের অন্যতম একটি সংকট। এই সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে রয়েছে এবং থাকবে। এরই মধ্যে এই সংকট মোকাবেলায় ওয়াশিংটন ঢাকাকে ৩৪৫ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
এর আগে দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন বার্নিকাট। সেখানেও তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের আহ্বানে আওয়ামী লীগের সাড়া দেয়াকে গণতন্ত্র ও রাজনীতির জন্য ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটা খুবই গতিশীল পদক্ষেপ।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে সরকারের সংলাপে বসার বিষয়টি গণতন্ত্র ও রাজনীতির জন্য খুবই ইতিবাচক। সরকার সংলাপের যে উদ্যোগ নিয়েছে তা গতিশীল পদক্ষেপ। এ উদ্যোগ যদি সফল হয় তবেই জনগণের কাছে এটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
এ ছাড়া গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন বার্নিকাট। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত উভয়েই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এসময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের তরুণদের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠী অসাধারণ। তারাই বাংলাদেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এছাড়াও দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেন বার্নিকাট। বাংলাদেশে উৎপাদিত আম ও লিচুর প্রশংসাও করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আরও জানান, বৈঠকে বিভিন্ন সেক্টরে সরকারের সফলতার তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমার মূল উদ্দেশ্য দেশকে উন্নত করা, দেশের মানুষের কল্যাণ করা। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর, ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর দেশের প্রতিটি এলাকা ঘুরে দেখার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ঘুরেছি। মানুষের অবস্থা দেখেছি। সেসব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা করে কাজ করছি বলেই দেশ আজ উন্নতির পথে। কৃষিতে গবেষণা বাড়ানোয় এখন সারা বছরই বিভিন্ন শাক-সবজি পাওয়া যায় বলেও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেথ হাসিনা ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বার্নিকাট মার্কিন রাষ্ট্রদূত ঢাকায় আসেন। ওই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের কাছে পরিচয় পত্র পেশের মধ্য দিয়ে বর্ষীয়ান এবং অভিজ্ঞ কূটনীতিক মার্শা বার্নিকাট যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেন।
গতকাল বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে সংবাদকর্মীদের মোট ১২টি প্রশ্নের জবাব দেন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। তিনি বলেন, আমি যখন বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছি এবং এখন বিদায় বেলা, এই দুই ক্ষণের মধ্যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে। কেন না বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গণ খুবই জটিল।
মার্শা বার্নিকাট আগামী ২ নভেম্ববর ঢাকা ছেড়ে যাবেন। বার্নিকাটের স্থানে নিয়োগ পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকা আসবেন বলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেওয়ার আগে মার্শা বার্নিকাট একজন মিনিস্টার-কাউন্সিলর পর্যায়ের পেশাদার ঊর্ধ্বতন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্য হিসেবে বিগত ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবসম্পদ ব্যুরোতে উপসহকারী মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাবেক মিশন প্রধান ও দুইবার মিশন উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বার্নিকাট, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখায় তার দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনার প্রমাণ রেখেছেন। ওয়াশিংটনে তার পূর্ববর্তী দায়িত্ব ও দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি কাজে লাগান।
বিগত ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বার্নিকাট সেনেগাল এবং গিনি-বিসাউ এর রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোতে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভুটানের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবসম্পদ ব্যুরোতে ঊর্ধ্বতন পরিচালক এবং পেশাজীবী উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। তিনি বার্বাডোস যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস (২০০১-২০০৪) ও মালাওয়ি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের (১৯৯৮-২০০১) মিশন উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মরোক্কোতে যুক্তরাষ্ট্র কনস্যুলেটের প্রধান কর্মকর্তা বা ‘প্রিন্সিপাল অফিসার’ (১৯৯৫-১৯৯৮), ভারতের নয়া দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি পলিটিক্যাল কাউন্সিলর (১৯৯২-১৯৯৫) হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক দপ্তরে ভারত ও নেপালের ডেস্ক অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন। ডেপুটি সেক্রেটারি জন হোয়াইটহেড-এর বিশেষ সহকারী, অপারেশনস সেন্টারের পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা, ফ্রান্সের মার্সেই এর কনস্যুলার কর্মকর্তা ও মালির বামকোতে রাজনৈতিক/কনস্যুলার কর্মকর্তা হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট ১৯৭৫ সালে লাফায়েত কলেজ থেকে স্নাতক ও ১৯৮০ সালে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফরেন সার্ভিসে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অসংখ্য পুরষ্কার পেয়েছেন বার্নিকাট। ছয়বার ‘সিনিয়র ফরেন সার্ভিস পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড’, দুবার ‘সুপিরিওর অনার অ্যাওয়ার্ড’, চারবার ‘মেরিটরিয়াস’ ও একবার ‘ওয়ান গ্রুপ মেরিটরিয়াস অনার অ্যাওয়ার্ড’পেয়েছেন। রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট ফরাসি, হিন্দি ও রুশ ভাষায় পারদর্শী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন