শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে ইসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

বিএনপির গঠনতন্ত্রের কমিটির সদস্য পদের অযোগ্যতা’ শীর্ষক ৭ ধারায় নিয়ে সংশোধিত অংশ গ্রহণ না করার জন্য ইসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিতে বেঞ্চ এ রুলসহ এ আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আবেদনটি এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য ইসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, গঠনতন্ত্র অনেক আগেই ইসিতে জমা দেয়া হয়েছে। এখন বিএনপি কর্মী বলে দাবি করে কেন রিট করছেন ওই এটা বুঝে আসে না। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব জায়গা আদালতকে ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। গত ৩০ অক্টোবর মিরপুর কাফরুলের বাসিন্দা ওই কথিত বিএনপিকর্মী মোজ্জামেল হোসেন দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ে রিট করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আওয়ামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী। পরে মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী ইনবিলাবকে বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্রে কমিটির সদস্য পদের অযোগ্যতা’ শীর্ষক ৭ নম্বর ধারা বাদ দিয়ে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া সংশোধীত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে এক ব্যক্তির করা আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইসিতে জমা দেয়া সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতেও বলেছেন আদালত। কে এম মাসুদ রুমী বলেন, বিএনপিকর্মী পরিচয় দিয়ে গঠনতন্ত্র গ্রহণ করা হলে দুর্নীতিবাজ, অযোগ্য ব্যক্তিরা নেতা হওয়ার সুযোগ পাবেন উল্লেখ করে আবেদন। এ ছাড়া সংশোধনীটি সংবিধানের ৬৬(২)(গ) অনুচ্ছেদেও সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আদালত তার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে রুল ও অন্তর্বতীকালীন আদেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হওয়ার কিছুদিন আগে বিশেষ কাউন্সিলের মাধ্যমে দলটির গঠনতন্ত্রের দলের নির্বাহী কমিটির পদে থাকা ও দল থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া সংক্রান্ত ৭ ধারা সংশোধন করে। সংশোধীত ৭ ধারায় বলা হয়, প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দলের একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। ৩০ বছরের কম বয়স্ক কোনো ব্যক্তি দলের চেয়ারম্যান হতে পারবেন না -এই অংশটুকু যোগ করা হয়। পরবর্তীতে তা ইসিতে পাঠায় বিএনপি। ওই সংশোধনী গ্রহণ না করতে কাফরুলের ওই কথিত বিএনপিকর্মী ইসিতে আবেদন জানায়। একই সঙ্গে ওই দিনই হাইকোর্টে রিট করে নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত আবেদনটি নিষ্পত্তির নির্দেশনা চান। এ ছাড়া আবেদনটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির সংশোধীত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্দেশনা চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:৪৯ পিএম says : 0
পারিবারিক সংগঠন কিংবা কিছুলোকের দল বা সংগঠন তাদের নিজস্ব আইনে চলবে এটা সঠিক। তারপরও তাদেরকে সমাজকল্যাণ দপ্তর থেকে সরকারের কিছু নির্দিষ্ট আইন মেনে নিবন্ধন করাতে হয়। একই ভাবে দেশের রজনৈতিক দলগুলোকে সংবিধানের আইনের সাথে মিলিয়ে বা সংবিধানের আইন মেনে দলের সংবিধান রচনা করা হয় এটাই আইন। ..............................
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন