শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সংলাপ সফল না হওয়ার কিছু নেই, আলোচনা আরো চলতে পারে -নৌমন্ত্রী

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৮, ৩:৫৮ পিএম

নৌমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বলেছেন, সংলাপ সফল না হওয়ার কিছু নেই; আমি মনে করি সংলাপ সফল হয়েছে। আলোচনা আরো চলতে পারে। সংলাপে বিএনপির সন্তুষ্ট না হওয়ার কারণ হলো, তারা যা চায় সেখানে সরকারের কোন হাত নেই; এটা আইন আদালতের ব্যাপার। এ বিষয়টা ঐক্য জোটের নেতা ড. কামাল হোসেনও বুঝতে পেরেছেন। তিনিও বলেছেন সংলাপ সফল হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় মাদারীপুর এ.আর. হাওলাদার জুট মিলের ভেতরে বদ্ধভূমির উপর ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ নির্মাণের জন্য ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনকালে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সমাবেশে নৌ মন্ত্রী বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের যথেষ্ট সম্মান দিয়েছেন। মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন, মাসিক ১০হাজার টাকা ভাতা, ৩টি বোনাস এবং অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘরসহ অনেক কিছু দিয়েছেন। আমিও ১০হাজার টাকা করে ভাতা পাই।
আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে শাজাহান খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ আমাদের মস্তিষ্কে ধারণ করতে হবে। দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা রয়েছে; রাজাকারের কোন তালিকা নেই। তা‘হলে আপনি রাজাকারের সন্তানকে কিভাবে চিনবেন। রাজাকারের তালিকা তৈরির কাজ চলছে; রাজাকারের তালিকা করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে রাজাকারের সন্তান চিহ্নিত করা যায়। মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধাদের যেখানে দাফন করা হবে; সারাদেশে সেই কবরের একই ধরণের ডিজাইন করা হচ্ছে। মানুষ যাতে দেখে সহজেই চিনতে পারে এটা মুক্তিযোদ্ধার কবর। মাদারীপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা কবরস্থান করা হবে।
মাদারীপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শাহজাহান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার, নৌমন্ত্রীর স্থানীয় প্রতিনিধি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. ওবাইদুর রহমান খান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান খান, সদর থানার সাবেক কমান্ডার আবদুল খালেক প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন