শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নির্বাচনবিহীন ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স

আট বছর ধরে কাজ চলছে দায়সারাভাবে চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

উচ্চ আদালতের একটি আদেশ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে গত আট বছর ধরে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। এ সময়ে চেম্বারের দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)। তাই নেতৃত্বহীন চেম্বারের কাজকর্ম চলছে দায়সারাভাবে আর সদস্যদের মাঝে তৈরি হয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা।

চেম্বারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আট বছর আগে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর যে কমিটি দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা ১২০ দিন পূর্বেই পরবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এড. মোস্তাক আলম টুলুকে নির্বাচন কমিশনার করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করার অনুরোধ করেন। নির্বাচন কমিশনার উক্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয় মর্মে একটি পত্র লিখে জানিয়ে দেন। এরই প্রেক্ষিতে তৎকালীন কমিটি নির্বাচন করার জন্য সময় প্রার্থনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রেরণ করেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্বাচনের জন্য সময় না দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে মর্মে অভিযুক্ত করে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র দায়িত্বভার জেলা প্রশাসনকে গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয়। নির্দেশের পর তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)’র কাছে চেম্বারের দায়িত্বভার ন্যস্ত হয়। এরপর একটি পক্ষ উক্ত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। উচ্চ আদালত থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিবকে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র নির্বাচনের সময় বাড়ানোর আবেদন সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে দায়িত্বভার কেন জেলা প্রশাসনের হাতে ন্যস্ত করা হলো তার ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠান।

এর কিছুদিন পরেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে উক্ত সচিব বদলি হয়ে যান। পরবর্তী সচিব বিষয়টি জানেন না বলে এড়িয়ে যান ও আদালতকেও এবিষয়ে কিছু জানান নি। তখন থেকেই ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অনেকটা অভিভাবকহীন অবস্থায় রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র সভাপতি হাবিবুল ইসলাম বাবলু জানান, নির্বাচন করতে আমরা ব্যর্থ হইনি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশনারের মতামতের প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সময় প্রার্থনা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সময় বৃদ্ধি করা সম্ভব না হলে সেটা জানিয়ে দিতে পারতেন তারা। তা না করে আমাদের ব্যর্থ বলে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের হাতে। এটা আমাদের কোন ভুল না। মন্ত্রণালয়ের ভুলের খেসারত আমরা কেন দিব। তাই আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঐ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করেছি। আদালত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা দিচ্ছেনা, মামলাও নিষ্পত্তি হচ্ছেনা। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের কমিটিই বহাল থাকবে। তাই আমাদের কমিটি এখনও বৈধ। আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আসলে চেম্বারের একটি কুচক্রী মহল বানিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রভাবিত করে নিজেদের পছন্দের ঐ আদেশ জারি করেছে।
চেম্বারের সদস্য শামসুজ্জামান দুলাল জানান, বর্তমানে যে কমিটি রয়েছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। তারা মন্ত্রণালয়ের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করে দিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন