রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার।
১৫ নভেম্বর ছোট আকারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আরাকানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার না পেলে, সেখানে নাগরিকত্ব না পেলে এবং মিয়ানমারে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পেলে রোহিঙ্গারা ফিরে য়েতে নারাজ।
জানাগেছে, রোহিঙ্গাদের এমন দাবীর প্রেক্ষিতে জরুরী ভিত্তিতে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার।
টেকনাফে শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার।
এসময় শালবাগান শরণার্থী শিবিরের ৯ রোহিঙ্গা নেতা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার(১০ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় টেকনাফ নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরেরর পাশে এলপিজি ওয়ারহাউস ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারের একটি কক্ষে ঘন্টাব্যাপী রোহিঙ্গাদের মুখে নির্যাতনেরর কথা শুনেন ক্রিস্টিন এস বার্গনার।
এ সময় টেকনাফ নয়াপাড়া অনিবন্ধিত শালবাগানের ডেভলাপমেন্ট কমিটির নারী চেয়ারম্যান রমিদা বেগমসহ ৯ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
তবে বৈঠক শেষে ক্রিস্টিন এস বার্গনার সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
জানা যায়, শনিবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে তিনি ক্যাম্পে আসেন।
বৈঠকে মিয়ানমারের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন টেকনাফ শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান রমিদা বেগম।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। ফলে তারা সেদেশ থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।
আগে এসব নির্যতানের বিচার চায়, তারপর তারা মিয়ানমারে ফিরত ছায়। জবাবে জাতিসংঘের বিশেষ দূত বলেন, মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে। যেন রোহিঙ্গাদের তাদের অধিকারসহ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়া হয়।
এ সময় রোহিঙ্গাদের জোর করে সেদেশে না পাঠানোরও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
রমিদা বেগমের মিয়ানমার রাইম্যাবিল গ্রামের বাসিন্দা। সে গত বছর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নেয়।
গত ৪ মাস আগে ইউএনএইচসিআর মাধ্যমে রমিদা বেগমকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিটি করা হয়। পরে দুপুর ১২ টায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত টেকনাফ ত্যাগ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন