রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের ঘটনায় ইউরোপের বাজারে মিয়ানমারের চালসহ অন্য পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ও কোটা সুবিধা বাতিল করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন- ইইউ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা গত ৩১ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইন, কাচিন ও শানে চার দিনের সফর শেষে সেখানকার পরিস্থিতি দেখে এ পদক্ষেপের আভাস দেন। এদিকে জাতিসংঘের পর এবার বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি, রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়নি। নিরাপদে ফিরে যাওয়া নিশ্চিতে ঢাকা ও নেপিদোর প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। অপর এক খবরে বলা হয়, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন ১৫০ জন করেই রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছে মিয়ানমার। এর মাধ্যমে ধাপে ধাপে প্রথম দফায় ২ হাজার ২শ’ ৫১ জনকে রাখাইনে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে নাইপিদো। তবে তা সীমান্তে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে হবে বলেও মন্তব্য দেশটির শীর্ষ নেতাদের। আর রাখাইনের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে মিয়ানমারকে সব ধরনের সহায়তার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ। রোববার ইয়াঙ্গুনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মিয়ানমার সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা। এ সময় দেশটির সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ড. উইন মিন্ট আবারও উল্লেখ করেন, ১৫ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিদিন মাত্র ১৫০ জন করে রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেয়া হবে। এভাবেই প্রথম পর্যায়ে ১৫ দিনে ধাপে ধাপে ২ হাজার ২৫১ জনকে রাখাইনে নেয়ার পক্ষে নাইপিদো। মিয়ানমারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রী ড. উইন মিন্ট, সমাজকল্যাণ বলেন, যথাসময়ে আমরা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত। এই তারিখটা চলতি মাসের ১৫ই নভেম্বর। সীমান্তে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষেই প্রত্যাবাসন কার্যকর করা হবে। এ-ক্ষেত্রে নিরাপত্তার নতুন অজুহাত দেখিয়েছে নাইপিদো। মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রী ড. উইন মিন্ট বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সীমান্তে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তারা যাচাই করবে, ফিরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে কোনো সন্ত্রাসী রয়েছে কিনা। সন্ত্রাসী থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এশিয়া টাইমস, রয়টার্স, এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন