২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিভিন্ন মামলায় বাজেয়াপ্ত ও জরিমানা বাবদ অভিযুক্ত দুনীতিবাজদের কাছ থেকে ২৭৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। ১৩ নভেম্বর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অ্যাগেইনেস্ট করাপশ (আনকাক) এর দ্য ইমপ্লেমেনটেশন রিভিউ গ্রুপের দ্বিতীয় রিজিউমড এর নবম সেশনে বক্তব্যকালে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ কথা বলেন। দুদক জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশের ডেলিগেশন টিমের প্রধান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, রিভিউয়ের প্রথম সাইকেলে বাংলাদেশ ইরান এবং প্যারগুয়ের মাধ্যমে রিভিউড হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ফিজি এবং ফিলিপাইন্সকে রিভিউ করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে নতুন নতুন শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি নানাবিধ উত্তম চর্চার সাথে পরিচিত হয়েছে। ফলে আনকাক এর বিভিন্ন প্রভিশন কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে কাজ করছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান উল্লেখ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ১৮৯টি মামলা দায়ের এবং ২২৩টি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছে। দুদকের পারফরমেন্স মূল্যায়ন করে তিনি বলেন, ২০১১ সালে যেখানে দুদকের মামলায় বিচারিক আদালতে সাজার হার ছিল ২০ শতাংশ, ২০১৭ সালে তা ৬৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, মানিলন্ডারিং মামলার ক্ষেত্রে এই সাজার হার ১০০ শতাংশ। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত ২৩টি মামলার রায় হয়েছে, প্রতিটি মামলায় আসামিদের সাজা হয়েছে। ১২ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশন আয়োজিত এই সেশনে তিন সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন