শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নিপুণ-রুমাসহ ৭ জন রিমান্ডে

বিএনপি অফিসের সামনে সংঘর্ষের তিন মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে ডিবির একাধিক টিম মাঠে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

নয়াপল্টনে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমাসহ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে দুপুর ১২টার পর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে নিপুণ রায়সহ অন্যদের আদালতে পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে নিপুণ রায় এবং সংগীতশিল্পী ও বিএনপির নেত্রী বেবী নাজনীনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে বেবী নাজনীনকে ডিবি কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
অন্যদিকে পল্টন থানায় দায়েরকৃত ৩টি মামলা তদন্ত করছে ডিবি। আসামী বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে একাধিক টিম কাজ করছে। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার রিমান্ডে আনা ৩৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবির একাধিক টিম। এদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের সময় জড়িত অন্যদের গ্রেফতার ও শনাক্ত করতে মাঠে রয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ ও পুলিশের একাধিক টিম। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রিমান্ডের বাকি ৫ জন হলেন, রাজধানীর খিলক্ষেত থানা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ মৃধা, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার যুবদল নেতা আবুল হাশিম সবুজ, বরগুনার তালতলী উপজেলার বিএনপি নেতা আমির হোসেন এবং বিএনপি কর্মী মোঃ মহসিন ও মোঃ মামুনুর রশিদ খোকন।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই জালালউদ্দিন আহমেদ জানান, বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও দন্ডবধির কয়েকটি ধারায় দায়ের করা পল্টন থানার একটি মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আদালতে রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালমা হাই টুনি বলেন, পল্টনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার পরিকল্পনাকারী কারা ছিল, তা জানতে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। অন্যদিকে বিবাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট নিপুণের বাবা আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, আমার মক্কেলরা কোনোভাবেই ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত নয়। সরকার নিজেরা এসব করে তাদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দিয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে নিতাই রায় চৌধুরী, সানাউল্লাহ মিয়াসহ প্রায় ৩০ জন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত ১৪ নভেম্বর বুধবার পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এসময় বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ২টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন নেতাকর্মীরা। এরপর পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তিনটি মামলা করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার বিএনপির ৬৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর এই তিনটি মামলাতেই নিপুণ রায়কে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, তার স্ত্রী ও জাতীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর আকতারুজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন, দলটির মিডিয়া উইংয়ের দায়িত্বে থাকা সামসুদ্দিন দিদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক অমিনুল ইসলাম, হাবিবুর রশিদ হাবিব, যাত্রাবাড়ী থানার সভাপতি নবীউল্লাহ নবীসহ ৪৮৮ জনকে রাখা হয়েছে আসামির তালিকায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Maruf Uddin Nirub ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:০৫ এএম says : 0
এইদেশে খুনের চেয়ে গাড়ি পোড়ানো অপরাধের শাস্তি বেশী!
Total Reply(0)
Ikrum Hossain ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:০৭ এএম says : 0
কে ভাঙাল ইসি ও পুলিশের এই ঘুম? ইসির যখন হুঁশ ফিরল বা জেগে–থাকা ঘুমের ভান যখন ভাঙল, তখন দিনের সূর্য অনেকটা গড়িয়ে একদিকে বেশ হেলে পড়েছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ রীতিমতো উৎসব করে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করেছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা আনন্দ–উল্লাস করে, ঢাকঢোল পিটিয়ে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের উৎসব। এই উৎসবে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ থাকবে, উচ্ছ্বাস থাকবে। উন্মাদনাও থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। আওয়ামী লীগের কর্মীরা তা–ই করেছেন। কোথাও মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রাও দেখা গেছে। বাংলাদেশ বা ভারতীয় উপমহাদেশে এ রকম দৃশ্য হরহামেশাই দেখা যায়। নির্বাচনী প্রার্থীরা দলবল নিয়ে রাজনীতি করতে ভালোবাসেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিতরণের সময় ধানমন্ডি এলাকার কোথাও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পথচারীরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেছেন গন্তব্যে যেতে। মোহাম্মদপুরে দুই মনোনয়নপ্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে দুজন নিরীহ পথচারী মারাও গেল। সে ঘটনাতেও নির্বাচন কমিশন ওই প্রার্থীদের প্রতি রুষ্ঠ হয়েছে বলে মনে হয়নি। কিন্তু গোল বাধল বিএনপির বেলায়। সারা দেশই এখন সব দলের অংশগ্রহণে জমজমাট নির্বাচনের আশায় আছে। নাগরিকেরা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে দেশের নেতা নির্বাচন করতে চান। কোনো মৃত মানুষের ভোটে নেতা নির্বাচন করতে চান না বা বিনা ভোটের জনপ্রতিনিধিদেরও দেখতে চান না তাঁদের নেতা হিসেবে। নির্বাচন ঘিরে উৎসব, প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ যখন ফিরে আসছিল, তখন বিএনপিও মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করল। এরা আবার আরও এককাঠি সরেস। শুধু মিছিল, শোভাযাত্রাই নয়, তাঁদের কেউ কেউ হাতি নিয়ে এলেন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে। এতক্ষণে কুম্ভকর্ণ ইসির ঘুম ভাঙল বা ঘুমের ভান ধরে থাকা নির্বাচন কমিশনের মনে হলো কোথাও কোথাও আচরণবিধি লঙ্ঘিত হতে পারে বা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিঠি দিয়ে আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ জারি করল ইসি। এর পরদিনই বিএনপি অফিসের সামনে পল্টন এলাকায় সংঘর্ষের সূত্রপাত। বিএনপি ও পুলিশ; দুই পক্ষই পরস্পরকে উসকানির দায়ে অভিযুক্ত করেছে।
Total Reply(0)
Saiful Islam ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:০৮ এএম says : 0
রক্ষী বাহিনী প্রধানের মতে সংঘর্ষের জেরে মর্মান্তিক মৃত্যুবরণ চেয়ে শুধু সংঘর্ষে করলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
Total Reply(0)
Hossain Dipu ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:০৮ এএম says : 0
Vobisshote double rimand Er Jonno ready thakte hobe
Total Reply(0)
S.m. Azad Hossan ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:০৯ এএম says : 0
মুক্তি চাই দিতে হবে
Total Reply(0)
Ayesha Raisa Mamun ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:০৯ এএম says : 0
তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি ।
Total Reply(0)
Mostofa Arif ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:১০ এএম says : 0
তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি ।
Total Reply(0)
Engr Amirul Islam ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:১৭ এএম says : 0
These police and DB league should be punished in future
Total Reply(0)
বাকের ১৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:৫৭ এএম says : 0
দুনিয়া ও আখেরাতের সুখ ও সফলতা একমাত্র আল্লাহ্ হুকুম ও তাহার রসূলের তরিকাই চলার মধ্যে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন