পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবীতে অবস্থান কর্মসূচী ও প্রতিকী অনশন পালন করেছন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তারা এই কর্মসূচী পালন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীরা ক্যম্পাসে ঢুকতে বাধাপ্রাপ্ত হন। শিক্ষার্থীদের দাবীগুলোর মধ্যে সকল প্রশাসনিক কর্তা ব্যাক্তিদের পদত্যাগ, দশ শিক্ষার্থীর অবৈধ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবী মেনে নেওয়াা, ক্যম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালুকরণসহ ৭ দফা দাবীতে তারা এই কর্মসূচী পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচী চলাকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ক্যম্পাসে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ৭ দফা দাবীতে আন্দোলন করছিলাম। দাবীগুলোর মধ্যে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষসহ পরবর্তী সকল ব্যাচ সমূহের অর্ডিন্যান্সের আওতাভুক্ত করা, ড্রপ আউট না করা, হলের ডাইনিংয়ের খাবার উন্নয়নের জন্য ভর্তূকি প্রদান, ক্লাশ রুম ও চেয়ার সংকট দূর করা, পরিবহন সংকট সমাধান, ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই চালু এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা ইত্যাদি। প্রশাসন আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ৫ নভেম্বর ‘আমরা প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করি।’ ওই দিন ভাইস চ্যান্সেলর স্যার আমদের সাথে কথা বলার সময় ধাক্কা ধাক্কির একটি অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে। এরপর তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে কোন প্রকার আলাপ আলোচনা ছাড়াই রিজেন্ট বোর্ডের সভা করে ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ক্যম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থীরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যম্পাস খুলে দিয়ে দ্রুত ক্যম্পাসে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবী করেন এবং একই সাথে সকল অযোগ্য, অদক্ষ প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে ব্যার্থ প্রশাসনের দক্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি করেন।
পাবিপ্রবি’র শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কিসলু নোমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অচলাবস্থা নিরসনের জন্যে দ্রুত কর্তৃপক্ষের সাধারণ শিক্ষার্থীরে সাথে আলাপ আলোচনা করে নিরসন করা দরকার। এতে শিক্ষার্থীদের সাথে আমাদেরও অনেক ক্ষতি হচ্ছে ।
এ বিষয়ে প্রো ভাইস চ্যান্সেলর আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ভিসি স্যারসহ আমরা কয়েক দফা বৈঠক করেছি। খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন