শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া শরণার্থীকে আশ্রয় দিল কানাডা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:০৫ পিএম

প্রায় সাত মাস মালয়েশিয়ার একটি বিমানবন্দরে কাটানোর পর কানাডায় আশ্রয় পেয়েছেন একজন সিরিয়ান। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করা শুরু করলে হাসান আল-কন্তারের ঘটনাটি বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
৩৭ বছর বয়সী হাসান আল-কন্তার শেষ দুই মাস ছিলেন মালয়েশিয়ার একটি বন্দিশালায়। তার কানাডিয়ান পৃষ্ঠপোষকরা সেসময় তার মামলার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানায়। সোমবার সন্ধ্যায় কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অবতরণ করেন তিনি।
কানাডায় শরণার্থী হিসেবে তাকে আনার পেছনে পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করে বৃটিশ কলাম্বিয়া মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন এবং কানাডা কেয়ারিং সোসাইটি নামক দু’টি প্রতিষ্ঠান। কানাডা কেয়ারিং সোসাইটির একজন স্বেচ্ছাসেবক লরি কুপার বিবিসিকে বলেন, ‘কন্তারের অবস্থা থেকে বোঝা যায় সারাবিশ্বে শরণার্থীরা প্রতিনিয়ত কী ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন।’ কানাডা কেয়ারিং সোসাইটির পক্ষ থেকে বলা হয়, কন্তারকে কানাডা নিয়ে আসার জন্য তহবিল সংগ্রহে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাহায্য করেছে মানুষ।
কন্তারের মামলাটিকে আলোচনায় এনেছিল বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা। কন্তারকে যেন কানাডা প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয় সেজন্য কানাডার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী বরাবর অনলাইনে একটি গণ আবেদন দাখিল করে কানাডিয়ান কেয়ারিং সোসাইটি। ঐ গণ আবেদনে ৬২ হাজারের বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছিল।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিরিয়ায় যুদ্ধ ছড়িয়ে পরার সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত ছিলেন মি. কন্তার। সিরিয়ায় থাকতে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক সেবা দান সম্পূর্ণ করেননি বলে পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারেন নি মি. কন্তার। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশে ফেরত গেলে জোরপূর্বক যুদ্ধে পাঠানো হবে - এই আশঙ্কায় সিরিয়া ফিরে যান নি তিনি। আরব আমিরাতেই অবৈধভাবে বসবাস করতে থাকেন তিনি। ২০১৬ সালে আরব আমিরাতে গ্রেফতার হন মি. কন্তার। ২০১৭’তে তাকে মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর তিন মাসের টুরিস্ট ভিসা পান মি. কন্তার। ঐ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তুরস্কে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সেসময় তাকে বিমানে উঠতেই দেয়া হয় নি। এরপর মি. কন্তার কম্বোডিয়া গেলেও সেখান থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে মাসের পর মাস অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করেন মি. কন্তার। বিমানবন্দরে নিয়মিত আসা-যাওয়া করা বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কর্মীদের দান করা খাবার খেয়ে দিন পার করতেন তিনি। সূত্র: বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন