বাংলাদেশের রফতানি আয়ের অনেকটুকু আসে পোশাক রফতানি থেকে। গত কয়েকদিনে গ্যাসের চরম সংকট চলছে। গৃহস্থালিতেও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না অনেক এলাকাতেই। সেখানে শিল্পে গ্যাস সরবরাহ সঠিকভাবে পাওয়া খুব বেশিই দায় হয়ে পড়েছে। গত শনিবার মহেশখালীর ভাসমান গ্যাস কেন্দ্রের পাইপলাইনে সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যা দেখা দেওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিন ৩০ হাজার ঘনফুট গ্যাস কম উত্তোলন করা হচ্ছে। যার ফলে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের চাপ অনেক বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। পেট্রোবাংলার তথ্যমতে, সমুদ্র তলদেশে হাইড্রোলিক ভাল্ক্বে সমস্যার কারণেই ত্রুট দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সমস্যার জন্য বিশেষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রকৌশলী দিয়ে কাজ করাতে হবে। সামিটের ভাসমান গ্যাস কেন্দ্রে কাজ করা প্রকৌশলীরা যদি এই ত্রুটি মেরামত করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে কয়েকদিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে। নতুবা সময় লাগবে আরও বেশি। কারণ দেশের বাইরে থেকে প্রকৌশলী নিয়ে আসতে হবে ! গ্যাসের প্রবল চাহিদার বিপরীতে এখন যে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে, তা খুবই কম। প্রত্যেক এলাকায় একই সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ রাখতে চাইলে গ্যাসের চাহিদা ও প্রাপ্তি দুই-ই সমস্যা দেখা দেবে। যদি গৃহস্থালিতে গ্যাস সরবরাহ সবসময় রেখে শিল্পের ক্ষেত্রে একেক এলাকায় একেক সময় গ্যাস সরবরাহ করা হয় এবং গ্যাসের চাপ সঠিক রাখা যায়, তবে সমস্যার সমাধান কিছুটা হলেও হতে পারে। সিএনজি স্টেশনগুলোর ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে চালানো যেতে পারে। যদি একটি অঞ্চলে একটি নির্দিষ্ট সময় ডিস্ট্রিবিউশন সঠিকভাবে করা যায়, সেক্ষেত্রে উৎপাদনে গতিও আসবে। যখন গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না, তখন যে পরিমাণ গ্যাসের সরবরাহ থাকে তা স্টিম তৈরি বা অন্যান্য কাজের জন্য পর্যাপ্ত নয়। গ্যাসের লাইনের ত্রুটি যেহেতু একটি বড় সমস্যা, সুতরাং সাগরের তলদেশের হাইড্রোলিক ভাল্ক্বগুলোর বাইপাস লাইন করা যায় কিনা, তাও ভেবে দেখা যেতে পারে।
সাঈদ চৌধুরী
শ্রীপুর, গাজীপুর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন