‘শাপলা চত্বর ট্র্যাজেডি’। পরদিন হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে আটকের গুজব তুলে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার চট্টগ্রামের সিনিয়র বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক এস এম শহীদুল্লাহ কায়সার এই আদেশ দেন।
আড়াই বছর আগে ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেফতার আসলাম চৌধুরীকে হেফাজতের তা-বের এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকু-) আসন থেকে তিনি বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে ঋণখেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) বিজন কুমার বড়ুয়া জানান, হাটহাজারীতে নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালের একটি মামলায় আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করেছিলেন। আদালত তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমানের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এরপর আসলাম চৌধুরীর আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করে। শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতের কর্মীদের সরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপারেশন সিকিউর শাপলা পরিচালনা করে। সেদিন পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষও হয়। হেফাজতের দাবি তখন অনেকে সেখানে শাহাদাতবরণ করেন। পরদিন ৬ মে হেফাজতের আমির আহমদ শফীকে ঢাকায় আটকে রাখার গুজব তুলে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক অবরোধ করে রাখে হেফাজতের কর্মীরা।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হন। এ ঘটনায় হাটহাজারী থানার পুলিশ একটি মামলা করে। মামলায় ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। আসামিরা সবাই ছিলেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী এবং হেফাজতের সমর্থক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন