মরহুম এমদাদ আলী খান ছিলেন, সাম্প্রদায়িকতাসহ সকল প্রকার সংকীর্ণতার উর্দ্ধে মানবতার সেবায় নিবেদিত এক অসাধারন ত্যাগী পুরুষ। তিনি প্রমাণ করে গেছেন, দারিদ্রতা মানব-সেবার কাজে বাধা হতে পারে না। তিনি ছিলেন মহানবীর (সা.) সাহাবীদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ এক মহান সমাজসেবী।
গতকাল রোববার বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম এমদাদ আলী খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে মজলিসের মহানগর কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলেচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, এমদাদ আলী খান যেখানেই কোন মানুষ বিপন্ন হয়েছে বলে শুনতেন, ছুটে যেতেন সেখানেই। দেহমন উজাড় করে দিয়ে তার সেবায় লেগে পড়তেন তিনি। তার সেবা থেকে বঞ্চিত হতো না বিপন্ন পশু পাখিরাও।
বক্তাদের অনেকেই এ ব্যাপারে তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং মন্তব্য করেন, এমদাদ আলী খান ছিলেন মানবতার আকাশে এক উজ্জল নক্ষত্র। যেই তার ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আসতো সেই তার গুনমুগ্ধ হয়ে পড়তো। এমদাদ আলী খান ইসলাম আর মানবতাকে অভিন্ন স্বত্তা বলে বিশ্বাস করতেন।
সংগঠনের প্রকাশনা সম্পাদক ড. মোহাম্মদ একরামুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীন সাংবাদিক ও ভাষা সৈনিক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল গফুর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি আবদুল মুকীত চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন খান, গোলাম মোস্তফা তাপস, ফুয়াদ মাহমুদ খান, কবি এসআই জনি ও মোহাম্মদ তাওহিদ খান প্রমুখ।
হামদ ও না’তে রাসুল পরিবেশন করেন শামীমা আক্তার সিদ্দিকা এবং মরহুম এমদাদ আলী খানের উপর প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের সাংস্কৃতিক কর্মী মুহাম্মদ সুজন মাহমুদ। সভা শেষে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন