শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

পূর্বাঞ্চলের জয়, অপেক্ষায় দক্ষিণাঞ্চল

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপূণ্য দেখিয়ে মাত্র তিন দিনেই দারুণ জয় তুলে নিয়েছে পূর্বাঞ্চল। বিসিএলের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল মুমিনুল হকের দল। আগের পাঁচ ম্যাচই তারা ড্র করেছিল।
মুমিনুল হক ও ইয়াসির আলির সেঞ্চুরির পর নাইম হাসানের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে মধ্যাঞ্চলকে ৩২১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও উঠে এসেছে পূর্বাঞ্চল। তবে উত্তরাঞ্চলকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখার কাছে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলও।
চট্টগ্রামের জহুর আহুমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইনিংস হার এড়াতে উত্তরাঞ্চলকে এখনো করতে হবে ৬২ রান, হাতে রয়েছে ৫ উইকেট। ৫ উইকেটে ১৮৬ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করে প্রথম ইনিংসে ২৯৩ রান করা উত্তরাঞ্চল। ধীমান ঘোষকে নিয়ে ব্যাটে আছেন জিয়াউর রহমান।
ইনিংস পরাজয়ের চোখ রাঙ্গানি তো ছিলই, ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে আরো বিপাকে পড়ে জহুরুল ইসলামের দল। তবে তৃতীয় উইকেটে ১২৮ রানের জুটিতে হাল না ছাড়ার ইঙ্গিত দেন জুনায়েদ সিদ্দিক ও নাঈম ইসলাম। ৩৫ রানের ব্যবধানে দুজনের মাঝে আরিফুল হকও আউট হয়ে গেলে পরাজয়ের শঙ্কা নিয়েই দিন শেষ করে উত্তরাঞ্চল। ৭৭ রান করেন জুনায়েদ, ৬৭ রান আসে নাঈমের ব্যাট থেকে। দক্ষিণাঞ্চলের ৫ বোলারের প্রত্যেকেই নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে ৫ উইকেটে ৪০৭ রানে দিন শুরু করা দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৫৪১ রানে। ১৫৫ রানে অপরাজিত থাকা এনামুল হক আউট হন ১৮০ রান করে। ডানহাতি উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের ৩১৪ বলের ইনিংসে ছিল ১৬টি চারের মার। আহত অবসরে যাওয়া আল-আমিন ফিরে এসে আগের দিনের সঙ্গে ১৯ রান যোগ করে আউট হন ১২৮ রানে। সানজামুল ১৫৮ রানে ৬ উইকেট নিলেও আব্দুর রাজ্জাকের দলের বড় সংগ্রহ আটকানো যায়নি।
ওদিকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনটি ছিল নাঈম হাসানের। ডানহাতি অফ স্পিনার একাই ৪৭ রানে ৮ উইকেট নিয়ে মধ্যাঞ্চলকে গুটিয়ে দেন ১৩৪ রানে। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে দেশের সেরা বোলিং ফিগারও এটি। ২০০৫ সালে বরিশালের বিপক্ষে ৬৭ রানে ৮ উইকেট নেওয়া খুলনার জামাল বাবুকে পেছনে ফেললেন নাঈম। ৪৫৬ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪২.২ ওভারে গুটিয়ে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ছয়জন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছালেও চল্লিশোর্ধো ইনিংস নেই একটিও। সর্বোচ্চ ৩৬ রান শান্তর। ৪২ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় মধ্যাঞ্চল।
এর আগে ২ রান নিয়ে দিন শুরু করে ৩ উইকেটে ২৫৪ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে পূর্বাঞ্চল। ইমরুল ফেরেন দুই অঙ্ক স্পর্শ করার আগে। রনি তালুকদার থিতু হয়েও দাঁড়াতে পারেননি। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল-ইয়াসির জুটি থেকে আসে ১৭৫ রান। মুমিনুল আউট হন ১০৬ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেই। এরপর ছিল ইনিংস ঘোষণার জন্য ছিল ইয়াসিরের সেঞ্চুরির অপেক্ষা। ১০৯ বলে ১০ চার ও ২ ছয়ে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির।

স ং ক্ষি প্ত স্কো র
উত্তরাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল, চট্টগ্রাম
উত্তরাঞ্চল: ২৯৩ ও ৫৮ ওভারে ১৮৬/৫ (মিজানুর ১১, জুনায়েদ ৭৭, ফরহাদ ৩, নাঈম ৬৭, আরিফুল ৪, জিয়া ১৫*, ধীমান ৩*; শফিউল ১/৩১, মনির ১/২৬, মেহেদি ১/৭১, রাজ্জাক ১/৪৫, নাহিদুল ১/৮)। দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: (আগের দিন শেষে ৪০৭/৫) ১২৫.৩ ওভারে ৫৪১ (এনামুল ১৮০, আল আমিন জুনিয়র ১২৮, মনির ৩৩, তুষার ১৪, রাজ্জাক ৩৫*, শফিউল ৭; ইবাদত ২/৮৮, সানজামুল ৬/১৫৮, নাঈম ০/৮০, জিয়া ০/৩৪, সাকলাইন ১/১২৬, আরিফুল ০/৪১)।

পূর্বাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল, সিলেট
পূর্বাঞ্চল: ৪২৫ ও (আগের দিন শেষে ২/০) ৪৩ ওভারে ২৫৪/৩ ইনিংস ঘোষণা (রনি ২৪, ইমরুল ৮, মুমিনুল ১০০, ইয়াসির ১০১*, জাকির ১৫*; তাসকিন ১/৩৭, আবু হায়দার ০/৩৫, শাহাদাত ১/১৯, মোশাররফ ১/৮৯, মোসাদ্দেক ০/৭০)। মধ্যাঞ্চল: ২২৪ ও (লক্ষ্য ৪৫৬) ৪২.২ ওভারে ১৩৪ (সাইফ ৩১, পিনাক ০, শান্ত ৩৬, মজিদ ১১, মার্শাল ১৬, মোসাদ্দেক ৭, জাকের ১৩, মোশাররফ ১১, আবু হায়দার ৪, তাসকিন ২*, শাহাদাত ০; তাইজুল ইসলাম ০/৬৪, নাঈম ৮/৪৭, খালেদ ০/১২, আবু জায়েদ ২/৮)। ফল: পূর্বাঞ্চল ৩২১ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাঈম হাসান (পূর্বাঞ্চল)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন