নির্বাচনে সশস্ত্রবাহিনী স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে নয়, সিআরপিসির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী তারা দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি ব্যর্থ হলে তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্রবাহিনী কাজ করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে কন্ট্রোল রুমে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। শাহাদত হোসেন আরও বলেন, একদিনে ২৯৯ আসনে নির্বাচন করাই বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সুষ্ঠুভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার সব প্রস্তুতি নেয়া আছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য ইসিতে স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে তিনশ’টি আসনের সরাসরি তদারকি করা হবে। কোনও ধরণের ঘটনা কোনও কেন্দ্রে ঘটলে এখন থেকে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ৬টি আসনে ইভিএম মেশিন ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে। এখন চলছে মক ভোটিং। সার্বিক দিক থেকে আমাদের প্রস্তুতি ভাল। পুরো নির্বাচনে প্রায় ৫ লাখের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এ সময় এনআইডি ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। পরে মেজর রাজু আহমদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিভাবে মোতায়েন করা হয়েছে তা মানচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
ধানের শীষ প্রতীকের ২২ প্রার্থীর ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেন, আদালতের আদেশ আমাদের মেনে চলতে হবে। শেষ মূহুর্তে যে আদেশ আসবে সে অনুযায়ী কাজ করবো। সেভাবে আমাদের প্রস্তুতিও রয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি আছে বলে আমি মনে করি না। রাজনৈতিক চাপ ও উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন