শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

পর্দার আড়ালে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:০২ পিএম | আপডেট : ৬:১৩ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ এবং ভোটারদের ভোট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পর্দার আড়ালে চলছে ব্যপক কূটনৈতিক তৎপরতা। আন্তর্জাতিক মহল চায় বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে জনগণ ভোটের অধিকার নিশ্চিত আবশ্যক। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর পাতানো নির্বাচনের মতো এবারও যেনতেন প্রকারে নির্বাচন করা হলে বাংলাদেশ মহাবিপর্যয় নেমে আসবে। আন্তর্জাতিক মহল মুখ ফিরিয়ে নেবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রভাবশালী দেশগুলো থেকে বাংলাদেশের ওপর নানা বিধি নিষেধ আরোপ করা হতে পারে। জাতিসংঘসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন কেউ বাংলাদেশকে সে অবস্থানে দেখতে চান না। এ জন্যই শেষ মুহুর্তে কূটনীতিকদের দৌঁড়ঝাপ বেড়ে গেছে।
নির্বাচনী প্রচারণায় ‘লেভের প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরিতে ইসি ব্যর্থ হয়েছে। ঢাকায় কর্মরত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাটকে সিইসি কে এম নুরুল হুদা নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন তফসিল ঘোষণার পর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গঠন করবেন। কিন্ত নির্বাচনী মাঠের অবস্থা দেখে মার্কিনীরা হতাশ। বরং অনেকেই সিইসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলছেন। প্রশাসন, আইন শৃংখলা বাহিনীর ভূমিকা এবং প্রার্থীতা থাকা না থাকায় আদালতকে টেনে আনাকে স্বাভাবিক চিত্র মনে করছেন না। গতকাল কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। ভোটাররা যাতে নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারে সে বিষয়ে তিনি নিশ্চয়তা চান। এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলার ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকের আগে চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও তার কথা হয়েছে বলে সুত্রে দাবি।
কূটনৈতিক সুত্র জানায়, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ ভারত, চীন। প্রভাবশালী এই দুই দেশ চাচ্ছে না বাংলাদেশের যেনতেন নির্বাচন করে ভয়াবহ বিপদের সন্মুখীন হোক। সে জন্য পর্দার আড়ালে তারাও তৎপরতা চালাচ্ছেন। সুত্র আরো জানায়, কয়েকদিন আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলার সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। দুই বৈঠকে তাকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে নিরপেক্ষ ভাবে ভোট হবে। সব দল সমানভাবে নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ পাবে। কিন্তু বাস্তবে মাঠে সেটা না দেখায় তিনি তৎপর হয়ে উঠেন।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভয়ভীতিহীন ও দমন-পীড়নহীন পরিবেশ নিশ্চিত করতে সব পক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হয়, তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান। আজ বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিবের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান হয়। জাতিসংঘের মহাসচিবের পক্ষে তাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ বিবৃতি দেন। 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
নিজামরুল ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:১৫ পিএম says : 0
কে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যাবার জন্য
Total Reply(0)
saddam hosain ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:২৮ পিএম says : 0
আওয়ামীলীগের মতামতের বাহিরে কিছুই হবে না।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:২২ পিএম says : 0
আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার জনগণের ভোটাধিকার খর্বের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
Total Reply(0)
Nannu chowhan ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:২৭ এএম says : 0
Eai aowami branded CEC
Total Reply(0)
Farjana Jannat ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৩১ এএম says : 0
নির্বাচনে এতো এতো কোটি টাকা ব্যয় না করে টাকাটা কোন একটি উন্নয়নে ব্যয় করা যেতো। পাবলিক আগেই জানতো "জনগনই সকল শোষিতের মূল"।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন