জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত যুবক ইউসুফ আকন্দ (৩২) ঘটনার তিনদিন পর মারা গেছেন। রাজধানীর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় তাঁর মুত্যু হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গ্রামে বালু ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে এক সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান নিহত হন। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সকালে নিহত জাহিদের চাচাতো ভাই ইউসুফ আকন্দ ও আসামি পক্ষের তোফাজ্জল হোসেন মিলিটারি গ্রুপের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় অন্তত ৩০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে আহত হয় প্রায় অর্ধশত। গুরুতর আহত অবস্থায় ইউসুফ আকন্দকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে রাজধানীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল।
তাঁর ছোটভাই ইব্রাহিম হোসেন জানান, ‘ইউসুফ আকন্দ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত আড়াইটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নরপাড়া গ্রামের আঃ আউয়ালের ছেলে। গর্ভবতী স্ত্রী রেখে মৃত্যু হওয়ায় ইউসুফের পরিবারে হতাশ বিরাজ করছে।
তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোহব্বত কবীর জানান, ‘মৃত্যুর বিষয়টি মৌখিক শুনেছি। নিয়মানুযায়ী ঢাকাতেই নিহতের লাশের ময়না তদন্ত হবে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন