শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

এটিএম শামসুজ্জামান ও শবনমের আড্ডা

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

চলচ্চিত্রের জীবন্ত দুই কিংবদন্তী এটিএম শামসুজ্জামান ও শবনম একসঙ্গে বেশ কয়েকটি সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন। সর্বশেষ তারা দু’জন নায়করাজ রাজ্জাক পরিচালিত ‘প্রেম শক্তি’ সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন প্রায় ত্রিশ বছর আগে। এরপর দু’জনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হলেও একসঙ্গে অভিনয় করা হয়নি। প্রায় পাঁচ বছর আগে একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে দু’জনের দেখা হয়েছিলো একই মঞ্চে পুরস্কার গ্রহণ করার সময়। সেই সময় দু’জন মন খুলে কথা বলতে পারেননি। তবে শবনমকে এটিএম শামসুজ্জামান কথা দিয়েছিলেন, একদিন সময় করে শবনমের বাসায় গিয়ে আড্ডা দিবেন। শবনমও এটিএম শামসুজ্জামানের সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছিলেন। তবে দু’জনের ব্যস্ততার কারণে আর সময় করে উঠতে পারেননি। তবে সম্প্রতি শবনমের সঙ্গে দিন-ক্ষণ ঠিক করে দেখা করেন এটিএম শামসুজ্জামান। বারিধারায় শবনমের বাসায় এক বিকেলে আড্ডায় মেতে উঠেন তারা। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের হিসেবে অভিনয়ে এটিএম শামসুজ্জামানের সিনিয়র শবনম। তবে বয়সে এটিএম শামসুজ্জামান শবনমের সিনিয়র। শবনম ও এটিএম শামসুজ্জামানের সেদিনের আড্ডায় চলচ্চিত্রের নানা প্রসঙ্গ উঠে আসে। পুরোনো দিনের অনেক কথা’সহ এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যাওয়া অনেক অভিনয়শিল্পী প্রসঙ্গেও কথা হয় দু’জনের মধ্যে। কথা হয় নায়করাজ রাজ্জাক প্রসঙ্গে। এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, ‘শিল্পীর কোন নিদিষ্ট গন্ডি নেই। অভিনয়ের প্রয়োজনে একজন শিল্পী দেশ পেরিয়ে যেকোন দেশের সিনেমাতে কাজ করতে পারেন। আমাদের শবনম তেমনই একজন শিল্পী যার শুরু হয়েছিলো এই দেশের সিনেমায় অভিনয় করে। এক সময় পাকিস্তানের শীর্ষ নায়িকা ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি যখন দেশে আসেন তখন তাকে নায়করাজ রাজ্জাক এবং কাজী হায়াৎ তার মেধার মূল্যায়ণ করেছিলেন। শবনম আমাদের চলচ্চিত্রের গর্ব। তার মতো এমন মহান শিল্পীকে আমরা সঠিকভাবে মূল্যায়ণ করতে পারিনি, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। একজন শিল্পীর চলে যাবার পর তাকে মূল্যায়ণ করার মধ্যে আমি গর্বের কিছু দেখিনা। শবনম আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারের গর্ব। আমার খুব প্রিয় একজন শিল্পী শবনম।’ শবনম বলেন, ‘এটিএম ভাইয়ের সঙ্গে আমি খুব বেশি সিনেমায় কাজ করিনি। কিন্তু তিনি আমাকে সবসময়ই খুব স্নেহ করেন। আমাদের মধ্যে দেখা হয় খুবই কম। তবে আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা বেশ মধুর। তিনি আমার বাবার মতোই। তাকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি। এমন গুণী একজন শিল্পীর সাহচর্য্যে আসতে পারার মধ্যেও আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। তিনি আমাদের চলচ্চিত্রের বটবৃক্ষ। রাষ্ট্র যখন তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে তখন আমি ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। আমি তার সুস্থতা কামনা করি সবসময়।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন