নগরীর পাহাড়তলীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন সোহেলকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় সিটি কর্পোরেশনের এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ১৭৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নিহত মহিউদ্দিনের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, মামলায় পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা সাবের আহমেদ সওদাগরকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। একইসঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খানসহ মোট ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
সোমবার পাহাড়তলী বাজারে গণপিটুনিতে মহিউদ্দিন সোহেলের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশ ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ী ও জনতা মিলে মহিউদ্দিন সোহেলকে গণপিটুনি দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। এসময় বাজারের অসংখ্য ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন সোহেলের চাঁদাবাজি এবং রেলওয়ের জায়গা দখল করে অফিস বানানোর অভিযোগ তুলে ধরেন।
তবে মঙ্গলবার তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মহিউদ্দিন সোহেল কোন ছিঁচকে চাঁদাবাজ কিংবা সন্ত্রাসী ছিলেন না। তার পারিবারিক ঐতিহ্য আছে। তার সাংগঠনিক ভিত্তি ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন