নতুন বছরের শুরুতেই অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। শাকসবজি ছাড়া চট্টগ্রামের বাজারে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। বেড়েছে মুরগি ও গরু গোশতের দাম। বাড়তি আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দামও। ডিমের দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। গতকাল শুক্রবার নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। শীতকালীন সবজির সরবরাহ ভাল থাকায় বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল। আলুসহ বেশ কয়েকটি সবজির দাম আরও এক দফা কমেছে। তবে চালের দামে অস্বস্তিতে ক্রেতারা। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের লোকজন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে। নির্বাচনী ডামাডোলের কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তা এখনও নিম্নমুখী হয়নি। বেড়েছে আদা, রসুনের দামও। শীতকাল উৎসবের মৌসুম। আর এ কারণে গরু, খাসিসহ সব ধরনের গোশতের দাম চড়া। মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম ঊর্ধ্বমুখী।
সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি বাজারে প্রচুর দেশী মাছ রয়েছে। রুই মাছ প্রতি কেজি ২৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০-১৪০ টাকা, লইট্টা ১৪০-১৬০ টাকা, ইলিশ আকারভেদে ৬০০-এক হাজার টাকা, রুপচাঁদা ৮৫০-৯০০ টাকা, দেশি কৈ ৬০০ টাকা, শিং ৮৫০ টাকা, মৃগেল ১৫০-২০০ টাকা, কাতাল ৩৫০-৩৭০ টাকা, বাটা ৬০০ টাকা, টেংরা ৫০০ টাকা, কোরাল ৩৫০-৫০০ টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গরু গোশত হাড় ছাড়া ৬০০ টাকা, হাড়সহ ৫০০-৫৫০ টাকা, খাসি ৬৫০-৭০০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৮০-৪০০ টাকা, সোনালিকা ২৫০-২৬০ টাকা এবং ব্রয়লার ১৩০-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের ডজন ৯৬-১০৮ টাকা। ছোট সাইজের হাঁস প্রতিটি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা, রসুন কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ২০-৪০ টাকা বেড়েছে। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি আদা ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বস্তাপ্রতি চালের দাম ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কেজিতে বেড়েছে তিন টাকা থেকে সর্বোচ্চ ছয় টাকা। সবজির দাম সাধারণের নাগালের রয়েছে। ফুলকপি ২০-৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, শিম প্রকারভেদে ৩০-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০-২৫ টাকা, নতুন আলু ২০-২৫ টাকা, পুরাতন আলু ২০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০ টাকা, কচুর ছড়া ৬০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, টমেটো ২৫-৪০ টাকা, লাউ প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা, শসা ৩০-৩৫ টাকা, শালগম ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন