বৃহত্তর ময়মন্সিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম -এর জামালপুর সামাজিক সাংস্কৃতিক ইউনিট আয়োজিত প্রয়াত চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের স্মরণসভা জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে গত শুক্রবার বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, প্রকৌশলী মোজাফফর হোসেন এমপি এবং বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেন। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল এবং টেলিভিশন প্রডিউসার এসোসিয়েশনের সভাপতি নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ,বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার। অনুষ্ঠানে আমজাদ হোসেনের কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা হয়। ময়মন্সিংহের আঞ্চলিক শিল্পীগণ তার জনপ্রিয় সব গান পরিবেশন করেন। ফাঁকে ফাঁকে আমজাদ হোসেনের সাহিত্য পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে পরিবারের লোকজন ছাড়াও আমজাদ হোসেনের ঘনিষ্ঠ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। আমজাদ হোসেনের মতো দক্ষ পরিচালক বাংলাদেশে এখনও দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার। তিনি বলেন, সব পরিচালকের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, আমজাদ হোসেনের মতো দক্ষ ও মেধাবী পরিচালক বাংলাদেশে এখন আর আমি কাউকে দেখি না। তার মেধা, মননে কর্মকাণ্ড ছিল সৃজনশীলতার প্রয়াস। তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, আমজাদ ভাই না থাকলে জহির রায়হান জহির রায়হান হতে পারতেন না। সেটা সবার জানা। জীবদ্দশায় তিনি পর্যাপ্ত রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পেলে উপমহাদেশের সেরা পরিচালক হিসেবে স্বীকৃতি পেতেন। তিনি সব পরিচালককে আমজাদ হোসেনের কর্মকাণ্ড অনুসরণ করার আহ্বান জানান। আমজাদ হোসেনের ছোট ছেলে সোহেল আরমান বাবার স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার বাবার রেখে যাওয়া সাহিত্যগুলো পুনর্মুদ্রণ করবো। এজন্য সবার সহযোগিতা একান্ত কামনা করছি। তিনি তার বাবার আত্মার মাগফেরাত কামনায় সবার দোয়া চান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন