নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে চরজব্বার থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে তাকে প্রত্যাহারের আদেশ দেয়া হয়।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফ জানান, সুবর্ণচরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠে ওসি নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে নিজাম উদ্দিনকে চরজব্বার থানা থেকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে চরজব্বার থানার ওসি হিসেবে সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাহেদ উদ্দিনকে পদায়ন করা হয়েছে বলে জানান এসপি। গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শুরু থেকে পুলিশের এই কর্মকর্তা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠে। মামলার বাদীর অভিযোগ উল্টে দিয়ে এজাহারে ভিন্ন বিষয় লেখা, আসামির তালিকা থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের নাম বাদ, আসামিদের গ্রেফতারে গড়িমসিসহ পুরো ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহের সব চেষ্টাই করেছেন তিনি। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ধর্ষিতা ওই নারীকে হাসপাতালে দেখতে গেলে তিনি চরজব্বার থানাপুলিশ মামলার এজাহার থেকে রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। ডিআইজি বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রæতি দেয়ার পর রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই মামলায় রুহুল আমিনসহ এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিরা পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন